বিক্ষোভকারীদের দাবি, এসএসসি তাঁদের এই অবস্থার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী। তাঁরা বলেন, ‘আইনি সহায়তার নামে রাজনীতিকরণ চাই না। যোগ্যদের তালিকা দিতে হবে। এসএসসি সমস্যা তৈরি করছে। আমরা সঠিক পথে নিযুক্ত হলেও এসএসসির জন্য আমাদের আজকে রাস্তায় এসে দাঁড়াতে হয়েছে।’ উল্লেখ্য, আজকেই বর্ধমানে একটি নির্বাচিনী প্রচারে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে মঞ্চ থেকেই তিনি নির্দেশ দেন, যোগ্য চাকরিহারা প্রার্থীদের জন্য আলাদা লিগ্যাল সেল এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম করবে বিজেপি। যোগ্য প্রার্থীদের অধিকার আদায়ে তাঁদের সবরকম আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।
তবে, চাকরিপ্রার্থীরা এই বিজেপির লিগ্যাল সেলের সহায়তা নিতে অস্বীকার করেন। কোনও রাজনৌতিক দলের সহায়তা নিতেই তাঁরা অগ্রাহ্য করেন। একজন প্রার্থী বলেন, ‘আমরা সিপিএম-তৃণমূল-বিজেপি কোনও দলের সহায়তা চাই না। এখানে সব বসছেন এমএ, বিএড, পিএইচডি হোল্ডাররা। যোগ্য প্রার্থী। ছয় বছর আমরা চাকরি করেছি। আমাদের যোগ্য লিস্টে নাম আছে। আমাদের চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে।’
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগের প্যানেল সম্পূর্ণ বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তবে নিয়োগের প্যানেল সম্পূর্ণ বাতিল করা হলেও এর মধ্যে ২০ হাজারের কাছাকাছি যোগ্য প্রার্থী রয়েছে বলে দাবি করছেন তাঁরা। মামলাটি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্ট এখনও পর্যন্ত হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থিগিতাদেশ দেয়নি।