SSC চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে রণক্ষেত্র করুণাময়ী। আচার্য ভবনের সামনে এদিন বিক্ষোভ দেখান ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেল বাতিলের সিদ্ধান্তে চাকরিহারা প্রার্থীরা। এসএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলার দাবি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন তাঁরা। রাস্তাতেই ব্যারিকেড করে তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। ব্যারিকেড ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করেন চাকরি প্রার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামানো হয় র‍্যাফ।শুক্রবার সকালে আচার্য ভবনের সামনে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন চাকরিহারারা। চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভের জেরে সেক্টর ফাইভ থেকে করুণাময়ী যাওয়ার রাস্তা কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। আজ তাঁরা আচার্য ভবনে এসেছিলেন চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে। কিন্তু, এসএসসি ভবনের সামনেই পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। ভবনের সামনে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় অফিস। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির পর আচার্য ভবনের সামনে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন চাকরিহারা প্রার্থীরা।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, এসএসসি তাঁদের এই অবস্থার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী। তাঁরা বলেন, ‘আইনি সহায়তার নামে রাজনীতিকরণ চাই না। যোগ্যদের তালিকা দিতে হবে। এসএসসি সমস্যা তৈরি করছে। আমরা সঠিক পথে নিযুক্ত হলেও এসএসসির জন্য আমাদের আজকে রাস্তায় এসে দাঁড়াতে হয়েছে।’ উল্লেখ্য, আজকেই বর্ধমানে একটি নির্বাচিনী প্রচারে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে মঞ্চ থেকেই তিনি নির্দেশ দেন, যোগ্য চাকরিহারা প্রার্থীদের জন্য আলাদা লিগ্যাল সেল এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম করবে বিজেপি। যোগ্য প্রার্থীদের অধিকার আদায়ে তাঁদের সবরকম আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।

‘যা করিনি তার শাস্তি কেন পাব, আবার উঠে দাঁড়াব’

তবে, চাকরিপ্রার্থীরা এই বিজেপির লিগ্যাল সেলের সহায়তা নিতে অস্বীকার করেন। কোনও রাজনৌতিক দলের সহায়তা নিতেই তাঁরা অগ্রাহ্য করেন। একজন প্রার্থী বলেন, ‘আমরা সিপিএম-তৃণমূল-বিজেপি কোনও দলের সহায়তা চাই না। এখানে সব বসছেন এমএ, বিএড, পিএইচডি হোল্ডাররা। যোগ্য প্রার্থী। ছয় বছর আমরা চাকরি করেছি। আমাদের যোগ্য লিস্টে নাম আছে। আমাদের চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে।’

SSC Recruitment Case : সুপ্রিম কোর্টে লিস্ট দিতে CBI-ই ভরসা কমিশনের
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগের প্যানেল সম্পূর্ণ বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তবে নিয়োগের প্যানেল সম্পূর্ণ বাতিল করা হলেও এর মধ্যে ২০ হাজারের কাছাকাছি যোগ্য প্রার্থী রয়েছে বলে দাবি করছেন তাঁরা। মামলাটি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্ট এখনও পর্যন্ত হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থিগিতাদেশ দেয়নি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version