মাত্র ১২০ টাকাতেই ফিরল ভাগ্যের চাকা। রাজমিস্ত্রি শুধু লাখপতি নন, আজ তিনি কোটিপতি। সংসার চালাতে কাজ করতে হয় রাজমিস্ত্রির। কিন্তু, কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখা ছাড়েননি যুবক। মঙ্গলবার দুপুরে ইংলিশ বাজার ব্লকের ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তাঁতীপাড়া এলাকার বাসিন্দা নিমাই সরকার সেই স্বপ্ন বুকে নিয়েই ১২০ টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কেটেছিলেন। কিন্তু, তাঁর ভাগ্য যে ১৮০ ডিগ্রি বদলে যাবে, তা কোনওদিন ভাবতেও পারেননি।ইংলিশ বাজার ব্লকের ফুলবাড়িয়ার নিমাই সরকার সংসার চালানোর জন্য রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। কোনও রকমে সংসার চলত তাঁর। বাড়িতে রয়েছে দুই মেয়ে, এক ছেলে। স্বচ্ছলভাবে সংসার চালানোর জন্য লটারি কেটে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন এই যুবক। তবে খোলা চোখে দেখা সেই স্বপ্ন যে কোনওদিন সত্যি হবে, তা ভাবতেও পারেননি তিনি। ১২০ টাকা দিয়ে সম্প্রতি একটি লটারি কেনেন।

সকালে কেন সেই লটারি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভাগ্য বদলে দেয় তাঁর। তিনি জানতে পারেন, কোটি টাকা জিতেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এই যুবকের ঠোঁটে ফুটেছে চওড়া হাসি। লটারি টাকা দিয়ে নিমাই জানান, এই টাকা দিয়ে তিনি তাঁর ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা করাতে চান। তাঁরা যাতে মানুষের মতো মানুষ হয়ে ওঠে, এমনটাই চাইছেন তিনি। পাশাপাশি নিজের থাকার জন্য একটি বাড়িও তৈরি করতে আগ্রহী তিনি।

লটারিতে কোটি টাকা জয়ের খবর পাওয়ার পর একদিকে যেমন তিনি অত্যন্ত খুশি, তেমনই সুরক্ষার বিষয়টিও মাথায় রেখেছেন। সটান লটারি নিয়ে মিল্কি ফাঁড়ি দারস্ত হয়েছেন এই যুবক। তবে তাঁর স্বপ্ন ছিল লটারিতে একদিন না একদিন তিনি কোটি টাকা জিতবেনই। আর সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি ওই যুবক।

অর্থের অভাবে সায়েন্সে পড়া হয়নি, উচ্চ মাধ্যমিকে চোখ ধাঁধানো ফলাফল লটারি বিক্রেতার ছেলের

তিনি বলেন, ‘আমার অভাবের সংসার। পরিবারের সকলেই ভীষণ খুশি হয়েছে। এই এক কোটি টাকা পেলে এই গরিবের পরিবারের অনেকের অনেক স্বপ্ন পূরণ হবে বলে আমি আশা করছি। আমি চাই পরিবারের সকলেই খুব ভালো থাকুক। তবে এবার থেকে সতর্ক হব। আর আলাদা করে কোনওদিন লটারিতে টাকা ঢালব না খুব একটা বেশি। ছেলে মেয়ে দুটোকে নিজের পায়ে দাঁড় করাতে চাই। আমাদের থাকার জন্য পাকা বাড়ি নেই। একটা বাড়ি তৈরি করব।’ এদিকে পেশায় রাজমিস্ত্রির রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার খবর পাড়ায় ছড়িয়ে পড়তেই কার্যত উৎসবের আমেজ চারিদিকে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *