লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি বরানগর বিধানসভায় উপনির্বাচনও ঘোষণা করা হয়েছে। সেই মতো সব রাজনৈতিক দলের তরফেই প্রার্থী ঘোষণা করে জোড়কদমে চলছে প্রচার। নমিনেশনও জমা দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন দলের তরফে। তবে এবার বরানগর বিধানসভার উপনির্বাচনে কমিশনের তরফে দেওয়া তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, ওই কেন্দ্রে লড়াইতে রয়েছেন একাধিক ‘সজল ঘোষ’। ওই কেন্দ্রে উত্তর কলকাতার দাপুটে নেতা তথা কাউন্সিলর সজল ঘোষকে টিকিট দিয়েছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই মনোনয়নও জমা দিয়েছেন তিনি। তবে ওই কেন্দ্রে একই নামে রয়েছেন আরও একজন প্রার্থী। বরানগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন সজলকুমার ঘোষ। আর বিষয়টি নজরে আসার পরেই, সরব হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ।এই বিষয়ে বরানগরের বিজেপি প্রার্থী বলেন, ‘এটা বালখিল্য রাজনীতি। মানুষ বোঝে কোনটা আসলি আর কোনটা জালি। মানুষকে কি মূর্খ ভাবে? মানুষকে যারা মূর্খ ভাবে তাদের থেকে বড় মূর্খ আর কেউ নেই। এগুলি হচ্ছে হারের ভয়। ভাবছে যদি ২০০ ভোটও নষ্ট করা যায়! ইয়ে ডর মুঝে অচ্ছা লগা।’ তবে এতে ভোটে কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করেন বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘এখনকার দিনে এসব হয় না। প্রার্থীর ছবি থাকে, নাম থাকে, প্রতীক থাকে। মানুষ শিক্ষিত। কোনও প্রভাব পড়বে না।’ তবে নির্দিষ্ট করে কোনও রাজনৈতিক দলের নাম অবশ্য করেননি বিজেপির সজল।
কে এই নির্দল প্রার্থী সজলকুমার ঘোষ?
এবার প্রশ্ন হচ্ছে কে এই নির্দল প্রার্থী সজলকুমার ঘোষ? স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বরানগরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ৪১/৯ প্রাণকৃষ্ণ সাহা লেনের বাসিন্দা সজলকুমার ঘোষ। শিক্ষাগত যোগ্যতা ক্লাস ফাইভ পাশ। বরানগরের ভিক্টোরিয়া হাইস্কুল থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাশ করে আর পড়াশোনা করেননি তিনি। বাবার নাম নারায়ণচন্দ্র ঘোষ। নির্দল সজল হলফনামায় জানিয়েছেন, হাতে মাত্র নগদ দু’হাজার টাকা রয়েছে তাঁর। আর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৫৫ হাজার ৩২ টাকা। নেই কোনও সোনার গয়না। নেই নিজস্ব বাড়িও। সমাজসেবাই তাঁর পেশা।
এদিকে বরানগর উপনির্বাচনে এই নির্দল প্রার্থীকে ঘিরে কৌতুহল বেড়েছে মানুষের মধ্যে। যদিও সংবাদমাধ্যম নির্দল সজলের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনওরকম প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি তিনি। অন্যদিকে এই ঘটনায় তৃণমূলের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, তারা কোনও ডামি প্রার্থী দেয়নি। প্রসঙ্গত ওই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হলেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।