পুলিশ তাঁদের জানায়, ই-মলের সামনের গেট খোলা। রাত ১১টা নাগাদ প্ল্যাটফর্মে পৌঁছে দমদমের দিকে যেতে ইচ্ছুক যাত্রীরা জানতে পারেন, ওই ট্রেন কবি সুভাষ স্টেশন ছেড়ে চাঁদনি চক পৌঁছবে রাত ১১টা ৩৫ নাগাদ। ট্রেনের আশায় আসা বেলঘরিয়ার রজত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি দশটা নাগাদ লাস্ট মেট্রোটা ধরতে এসে মিস করেছি। আমাকে পুলিশ বলে, রাত এগারোটার পর একটা স্পেশাল ট্রেন থাকবে। সেই মতো ফের ১১টার পর আসি। এসে দেখলাম ট্রেন নাকি রাত ১১টা ৩৫-এ আসবে। এ দিকে শিয়ালদহের দিক থেকে লাস্ট ট্রেন দমদম ছেড়ে যাবে মেট্রো দমদমে ঢোকার আগেই। কী ভাবে বাড়ি ফিরব?’
একই সমস্যার কথা বলেন ঠাকুরপুকুরের সঞ্জীব সাহাও। তাঁর কথায়, ‘আমি যখন কবি সুভাষগামী ট্রেনে গিয়ে রাসবিহারীতে নামলাম, বেরিয়ে দেখছি, কোথাও কিছু নেই। রাস্তায় অটো নেই, বাস নেই। মেট্রো থেকে নেমে আমাকে ট্যাক্সি ধরতে হলো! তাও অনেক টাকায়।’ একই অবস্থা হয় দমদমে নামা যাত্রীদেরও।
সেখানে রাতের যে ক’জন যাত্রী নেমেছিলেন, তাঁরা বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেও নাগেরবাজার বা সিঁথির মোড়–কোনও দিকেরই অটো বা বাস পাননি। অবশেষে কেউ কেউ অ্যাপের মাধ্যমে বাইক ধরেন, কাউকে অনেক টাকা খরচ করে রিকশা ধরতে হয়। এমনই একজন সুদেব পাল, যিনি দমদমে নেমে নাগেরবাজারের দিকে যাচ্ছিলেন।
সুদেবের কথায়, ‘মেট্রোর আসলে কোনও সদিচ্ছাই নেই রাতে ট্রেন চালানোর। নইলে তারা ট্রেন চালাল বাইরের কানেকটিং পরিবহণকে কোনও তথ্যই না দিয়ে! সবার তো আর মেট্রো স্টেশনের সামনেই বাড়ি নয়!’ মেট্রো কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এটা ট্রায়াল রান। যদি রাতে মেট্রো চলে, তা হলে সেই মতো সবাইকে ইনফর্ম করেই এগোনো হবে।