সোমবারও কাজের জন্য স্থানীয় আড়কামা মোড়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই মাত্র ৬০ টাকা দিয়ে ‘এক ঘর’ লটারির টিকিট কাটেন তিনি। আর সেই ৬০ টাকাই তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। বাড়ি পৌঁছানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি জানতে পারেন ওই টিকিটেই এক কোটি জিতেছেন তিনি। আনন্দের আনন্দ এই খবরে বাঁধ ভাঙে। প্রথমে তিনি পুরো বিষয়টি জানান প্রতিবেশীদের। এরপর টিকিট সহ আনন্দ সর্দার সটান হাজির হন খাতড়া থানায়।
তিনি বলেন, ‘কোটি টাকা পাব কোনওদিন ভাবতেও পারিনি। এই খবরটা পাওয়ার পর একটু ভয় লেগেছিল। এরপরেই থানার সঙ্গে যোগাযোগ করি।’ রাতারাতি পাওয়া এই বিপুল পরিমাণ অর্থ কী ভাবে ব্যয় করতে চান তিনি? এই প্রসঙ্গে আনন্দ বলেন, ‘আমার এক ছেলে, এক মেয়ে। সংসার টানতে গিয়ে ওদের পড়াশোনার খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল। ভালোভাবে ওদের পড়াতে পারছিলাম না। এই টাকাটা পেলে সবার আগে ওদের পড়াশোনায় খরচ করব।’
অনেক সময় দেখা যায়, কোনও ব্যক্তি লটারিতে কোটি টাকা জিতেও এই নেশা থেকে বার হতে পারেন না এবং সমস্ত টাকা খুইয়ে বসেন। এই প্রসঙ্গে আনন্দ বলেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর লটারি কাটব না। এই টাকাটা দিয়েই নতুন জীবন শুরু করব।’
এই খবর সামনে আসার পর খুশি আনন্দের প্রতিবেশীরাও। তাঁদের কথায়, ‘ওদের অভাবের সংসার। দিন রাত এক করে খাটাখাটনি করতেন আনন্দ। স্বাভাবিকভাবেই ও কোটি টাকার লটারি জেতার পর সংসারের হাল ফিরবে। ছেলে-মেয়ে দুটোর ভবিষ্যত উজ্জ্বল হবে।’