ওই টাকা কোথা থেকে এল? কেন এত নগদ টাকা নিয়ে যাচ্ছিল? ভোটের কাজে লাগানোর জন্য এই টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কিনা, সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। চারজন বাইক আরোহীর থেকে মোট ৯ লাখ ১৫ হাজার টাকা উদ্ধার হয়। আটক করা হয়েছে ৬ জন। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে গোলাবাড়ি থানার পুলিশ।
নির্বাচন কমিশনের আদর্শ আচরণবিধি চালু রয়েছে। তার মাঝেই এত পরিমাণ নগদ অর্থ বহন করা নিয়ম বিরুদ্ধ। এরপরেও ওই বাইক আরোহীরা কেন বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ নিয়ে যাচ্ছিল, সে ব্যাপারে তদন্ত চালানো হচ্ছে।
যদিও যে যুবকদের কাছ থেকে এই টাকা উদ্ধার হয়েছে, তাঁদের মধ্যে একজন জানান, তাঁরা কুরিয়র সার্ভিসের কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের ব্যবসার কাজের জন্যেই এই টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তবে তাঁদের কথার মধ্যে কিছু অসঙ্গতি পাওয়া যাওয়া আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। ভোটের মাঝেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এর আগেও বহু বেহিসাবি নগদ অর্থ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে, গোটা সহ বাংলাতেও ভোটের প্রচার শেষ হয়েছে। গতকালই ভোটের প্রচার শেষ হয়।
নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, আদর্শ আচরণবিধি চালু হওয়ার পর থেকে অর্থাৎ ১ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত মোট ৩৪ কোটি টাকা বেহিসাবি নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে। ভোটের মুখে শাসক, বিরোধী উভয় পক্ষের তরফেই জনগনের মধ্যে নগদ অর্থ বিলি করার অভিযোগ তোলা হয়। কিছুদিন আগেই মেদিনীপুরের ঘাটাল দাসপুরের খুকুড়দায় নাকা চেকিংয়ের সময়ও লাখ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল।