Baranagar Election 2024,তিন হেভিওয়েট, আজ যুদ্ধে নজর বরাহনগর বিধানসভাও – baranagar assembly by elections 2024 today


অশীন বিশ্বাস, বরাহনগর
বাঁকুড়ার পরাজয় থেকে শিক্ষা নিয়ে বরাহনগরের উপনির্বাচনে জানকবুল লড়াই চালিয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থী অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। নায়িকা যখন সেলফির আবদারে মানুষের মন জয়ের চেষ্টা করছেন, তখন উন্নয়ন কিছুই হয়নি বলে মানুষের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ছেন বিজেপির সজল ঘোষ।আর দুই বহিরাগতের মাঝখানে ‘ভূমিপুত্রের’ অ্যাডভান্টেজ নিয়ে বরাহনগরের প্রাক্তন বিধায়ক প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে ভোট চাইছেন সিপিএমের পোড়খাওয়া নেতা প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য। রাজ্যজুড়ে লোকসভা নির্বাচনের দাপটে বরাহনগর বিধানসভার উপনির্বাচনের ত্রিমুখী লড়াইও নজর টেনেছে আগাগোড়া।

তিন হেভিওয়েটের লড়াইয়ে বরাহনগরের বাসিন্দারাও খানিকটা দিকভ্রান্ত। কাকে রাখবেন, আর কাকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবেন, সেই প্রশ্নে স্পিকটি নট হলেও বরাবরের রাজনৈতিক সচেতন বরাহনগরের মানুষ তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেছেন প্রচারের লড়াই৷ বরাহনগরের ৩৪টি এবং কামারহাটির চারটি ওয়ার্ড নিয়ে বরাহনগর বিধানসভা।

তীব্র তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে সজল ঘোষ যখন হ্যান্ড মাইক হাতে পাড়ায় পাড়ায় প্রচারে ব্যস্ত, তখন ছোট বক্স, মাইক্রোফোন নিয়ে পাল্টা তস্য গলিতে প্রচার সেরেছেন সায়ন্তিকা। তন্ময় রাজনীতি, পাওয়া না পাওয়ার কথা বলতে বলতে ভোট প্রচারের মধ্যে বাচ্চাদের দেখলেই তার দিকে লজেন্স বাড়িয়ে দিয়েছেন।

তবে রাজনীতিতে নবাগত হলেও পোড় খাওয়া দুই রাজনীতিক তন্ময় এবং সজলের সঙ্গে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর দিয়েছেন সায়ন্তিকা। যা দেখে তৃণমূলের কর্মীরাও কিছুটা বিস্মিত। এক তৃণমূল কর্মীর কথায়, ‘প্রচারে বেরিয়ে দিদি (সায়ন্তিকা) রীতিমতো ছুটছেন। চোখে মুখে ক্লান্তির ছাপ নেই। বরং আমরাই হাঁপিয়ে উঠছি।’ প্রায় দু’মাস ধরে ভোটের প্রচারের সময়য়া কাজে লাগানো শুধু নয়, প্রত্যেকটি মানুষের কাছে পৌঁছনোর পরিকল্পনা নিয়ে বরাহনগরের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্ত চষে বেড়িয়েছেন তিনি। ঢুকে পড়েছেন হেঁসেলে।

দেদার সেলফির আবদারে নেই কোনও বিরক্তি। সায়ন্তিকার কথায়, ‘অভিনয় আমার পেশা। রাজনীতিতে অভিজ্ঞতা বেশিদিন না হলেও আমি বরাহনগরের মানুষের জন্য কাজ করতে এসেছি এটাই বলছি।’ পুর পারিষদ সদস্য অঞ্জন পালের কথায়, ‘বিরোধীরা ভেবেছিল বহিরাগত কেউ প্রার্থী হলে তারা সুবিধা পাবে। সে গুড়ে বালি।’

ঐক্যবদ্ধ তৃণমূল যখন ময়দানে, তখন শাসকের দুর্নীতি এবং বরাহনগরের পানীয় জল, নিকাশি-সহ অন্যান্য সমস্যার অভিযোগ তুলে প্রচারে বেরিয়ে মাঝেমধ্যেই সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়ে মেজাজ হারাতে দেখা গিয়েছে বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষকে। নিজস্ব ভঙ্গিমায় হ্যান্ড মাইক হাতে তিনিও মহল্লায় মহল্লায় ঢুকে পড়েছেন।

Sayantika Banerjee: ‘হারব না’, বলেই দিচ্ছেন কনফিডেন্ট সায়ন্তিকা

সজলের কথায়, ‘আমাকে বিব্রত করার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হবে না।’ ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা সজল ভালোই বোঝেন ভোটের লাভ ক্ষতির অঙ্ক। তাই সিপিএমের তরফে তন্ময় ভট্টাচার্যর নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা হওয়ার পর থেকে সজল বলতে শুরু করেন, ‘ভোট কাটুয়া সিপিএম তৃণমূলের ড্যামি ক্যান্ডিডেট হয়ে তৃণমূলের সুবিধা করতে নেমেছে। তাই সিপিএমের নিচুতলার কর্মীদের বলছি যেন ভোট কাটাকাটিতে তৃণমূলের সুবিধা না হয় সে দিকে খেয়াল রাখবেন।’

তন্ময় অবশ্য উপনির্বাচনে দেশের সামগ্রিক ইস্যুকে তিনি তুলে ধরেছেন ভোট প্রচারে। পোস্ট কার্ডের ঢঙে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন নববর্ষের শুভেচ্ছা বার্তা। তিনি বলেন, ‘যেখানে আইএসআই-এর মতো প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেখানে গবেষণার জায়গা হিসেবে আরও সুনাম অর্জন করতে পারত। কিন্তু সে সব হয়নি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *