হিটওয়েভ কলকাতার দুয়ারেও, ‘ডেডলি কম্বিনেশন’ আর্দ্রতায় – heat wave again in kolkata west bengal know alipore meteorological department forecast


এই সময়:তাই খাতায়-কলমে তাপপ্রবাহ এড়িয়ে যেতে পেরেছে শহর। কিন্তু তার জন্য দুর্ভোগ কিছুমাত্র কমেনি। কমবে কী করে! কারণ, শহরের আপেক্ষিক আর্দ্রতা তো ঘোরাফেরা করছে ৮৩ শতাংশ থেকে ৫৮ শতাংশের মধ্যে। প্রবল গরমের সঙ্গে চরম আপেক্ষিক আর্দ্রতার এই ভয়াবহ কম্বিনেশন যে প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে, সেটা বলার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন হয় না। গোটা দিনই শহরবাসীকে সেই ‘ডেডলি কম্বিনেশনের’ ফল ভোগ করতে হলো। শুধু কলকাতা নয়, সংলগ্ন দমদমের (৩৯.৪) অবস্থাও একই রকম।

সল্টলেকের তাপমাত্রা (৩৭.১) তুলনায় কম ছিল। তবে সন্ধে ৫:৩০-এ সেখানকার আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৭৭ শতাংশ হওয়াতেই বোঝা যায় সারাটা দিন কী ভয়ানক অবস্থায় কাটিয়েছেন স্থানীয়রা। এদিনই দক্ষিণবঙ্গের আটটি জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছে। জেলাগুলো হলো পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম। এপ্রিল থেকেই যেন পারদ-বৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় মেতেছে পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড় এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডা।

Ajker Weather Update: আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভোগান্তি বাড়াবে গরম, স্বস্তির বৃষ্টি বৃহস্পতিতে

বৃষ্টির অভাবে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলোর তাপমাত্রা নতুন করে বাড়তেই ফের সেই প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেল পুরোদমে। রবিবার রাজ্যের মধ্যে উষ্ণতম ছিল পানাগড় (৪৪.১)। ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলেছে কলাইকুন্ডা (৪৩.৯)। এছাড়াও বাঁকুড়া (৪২.৩), আসানসোল (৪২.৬) এবং শ্রীনিকেতনের (৪১) সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও যথেষ্ট চড়া ছিল। রাজ্যের পশ্চিমের এই জেলাগুলো এমনিতেই গরমের জন্য কুখ্যাত। তবে, রবিবার হুগলির মগরার (৪০.২) তাপমাত্রাও ৪০ ডিগ্রির ঘর পার করেছিল।

আলিপুর হাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জুনের ১৫-র আগে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা নামার সম্ভাবনা কম। তার মানে সামনের আরও কয়েকদিন এমনই চড়া তাপমাত্রা ও চরম আর্দ্রতার সাঁড়াশি আক্রমণের মোকাবিলা করতে হবে রাজ্যের দক্ষিণ ভাগকে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *