এই ঘটনায় রাজনৈতিক টানাপোড়েন তুঙ্গে। তৃণমূল অভিযোগ তুলেছে বিজেপির দিকে। ঘটনায় ব্লক তৃণমূল নেতা রকি শেখ বলেন, ‘এরা তৃণমূলের ভালো কর্মী। যেই এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে বিজেপির প্রভাব রয়েছে। পুরো বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষ। কিন্তু, আমাদের অভিযোগ বিজেপির দিকে।’
যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
ঘটনায় বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শাখারাভ সরকার বলেন, ‘এই ঘটনায় বিজেপি কোনভাবেই জড়িত নয়। তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের জের। পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করলে সত্য সামনে আসবে।’
এই ঘটনায় মৃতের আত্মীয়দের দাবি অবশ্য কিছুটা আলাদা। কয়েক বছর আগে হরিহরপাড়া এলাকায় খুন হন বাদল ঘোষ নামক এক ব্যক্তি। আর এই ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন সনাতন। পুরনো শত্রুতার জেরেই খুন বলে দাবি সনাতনের আত্মীয়দের। এই প্রসঙ্গে তাঁর আত্মীয় রেণুকা ঘোষ বলেন, ‘আমরা বেশ কয়েকদিন এলাকাছাড়া ছিলাম। এই ঘটনার নেপথ্যে বাদলের পরিবার থাকতে পারে বলে আমরা সন্দেহ করছি।’
এদিকে ইতিমধ্যেই সনাতনের দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ব্যক্তিগত শত্রুতা নাকি অন্য কোনও কারণ, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই প্রসঙ্গে হরিহরপাড়া থানার আইসি অরুপ রায় বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় আতঙ্কের চোরা স্রোত বইছে। থমথমে গোটা এলাকা।