সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বালুরঘাটের সাংসদ। সেখানে তাঁকে সংবাদ মাধ্যমের তরফে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়, ‘সুকান্ত মজুমদারের ব্যটন কি এবার শুভেন্দু অধিকারীর হাতে?’ অভিজ্ঞ রাজনীতিকের মতো এই প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন সুকান্ত। তিনি বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ দলের। দল আমাকে রাজ্য সভাপতি রেখেছে। যতদিন না পর্যন্ত রাজ্য সভাপতি পদে কেউ আসীন হচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত বাংলায় দলের দায়িত্ব আমার।’
এক্ষেত্রে একটি প্রশ্ন উঠছে, রাজ্য সভাপতি পদে কাকে বসানো হবে সেই জন্য নাম প্রস্তাব কি সুকান্তকে দিতে হবে? প্রশ্নের জবাবে বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, ‘এই ধরনের কোনও নিয়ম এক্ষেত্রে নেই।’
উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি আশানুরূপ ফলাফল না করার পর রাজ্য বিজেপি সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছিল দিলীপ ঘোষকে। সেই সময় তিনিই নিজের উত্তরসূরী হিসেবে প্রস্তাব দিয়েছিলেন সুকান্তর নাম। এবার সুকান্তর বদলে কাকে এই গুরুদায়িত্ব দেওয়া হবে তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। গুঞ্জন, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে হয়তো দিলীপ ঘোষকে ফিরিয়ে আনা হতে পারে।
অন্যদিকে, গেরুয়া শিবিরের একাংশের যুক্তি, যদি তৃণমূলের মহিলা ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসাতে হয় তাহলে তাদেরও একজন মহিলা সভাপতির প্রয়োজন রয়েছে। সেক্ষেত্রে ভাসছে লকেট চট্টোপাধ্যায়, শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, অগ্নিমিত্রা পল, মালতী রাভার নাম। শুধু তাই নয়, চর্চায় রয়েছে দেবশ্রী চৌধুরীর নামও।
পাশাপাশি, কুড়মি সম্প্রদায়ের বিজেপি নেতা পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোকে সুকান্তর উত্তরসূরী করার দাবি উঠেছে গেরুয়া শিবিরেই। অন্যদিকে, যদি শুভেন্দু অধিকারীকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে তাঁকে বিরোধী দলনেতার পদ ছাড়তে হবে। সবমিলিয়ে কার হাতে থাকবে বঙ্গ বিজেপির ব্যাটন? এখন সব নজর সেই দিকেই।
