Bishnu Pada Ray,আন্দামান-নিকোবরের ‘ঘরের ছেলে’ বাংলার ভূমিপুত্র, ফের সংসদে যাচ্ছেন অশোকনগরের বিষ্ণুপদ – bishnu pada ray andaman and nicobar islands lok sabha constituency bjp mp originally belongs from north 24 parganas ashoknagar


বাংলার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগরের ভূমিপুত্র ফের একবার আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের সাংসদ! অবাক হবেন না, এটাই বাস্তব। আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে লক্ষাধিক বাঙালির বাস। একটা বড় অংশের মানুষ সেখানে বাংলা ভাষাতেই কথা বলেন। আর সেই আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মানুষের কথাই আরও একবার সংসদে তুলে ধরবেন আদতে বাংলারই মানুষ বিষ্ণুপদ রায়।

পেশার তাগিদে আন্দামানে

একটা সময় অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কালীতলা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন বিষ্ণুপদ। দরিদ্র পরিবারের ছেলে জীবন সংগ্রামে টিকে থাকতে পাড়ি দিয়েছিলেন ‘কালাপানির দেশে’। তারপরই বদলে যায় জীবন। আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মানুষজনের পাশাপাশি জারোয়া ও অন্যান্য বিলুপ্তপ্রায় জনজাতিদের সেবায় নিয়োজিত করেন নিজেকে। অটলবিহারী বাজপেয়ী থেকে নরেন্দ্র মোদীর জমানা, বারংবার ওই এলাকায় কার্যত তিনিই হয়ে ওঠেন দলের ‘মসীহা’। অতীতেও সাংসদ হয়েছেন। কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি তাঁকে টিকিট দেয়নি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করেন, তাঁকে টিকিট না দেওয়ার কারণেই গত লোকসভা ভোটে আন্দামান ও নিকোবর দীপপুঞ্জে হারতে হয়েছিল বিজেপিকে। তাই এবার ফের একবার বিষ্ণুপদ রায়ের উপরেই ভরসা রাখেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা। বিজেপির হয়ে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ লোকসভা আসনে ১ লাখ ২ হাজার ৪৩৬ ভোট পেয়ে জয়ী হন বিষ্ণুপদ রায়।

মানুষের পাশে সর্বক্ষণ বিষ্ণপদ

ছোটবেলায় অশোকনগর কল্যাণগড় স্কুলেই পড়াশোনা বিষ্ণুপদর। পরবর্তীতে, পেশার তাগিদেই পাড়ি দেন দ্বীপরাজ্যে। আরএসএস-এর বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি চাষের কাজ থেকে দিনমজুরি, সবই করতে হয়েছে তাঁকে। পরবর্তীতে অটল বিহারী বাজপেয়ি সহ ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বের নজরে আসেন। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলকে ভালোবেসে ও আপদে বিপদে প্রত্যেকের পাশে দাঁড়ান বিষ্ণুপদ। আর সেই স্বভাবই তাঁকে দ্বীপরাজ্যের মানুষের ‘ঘরের ছেলে’ করে তোলে।

অতীতেও পা রেখেছেন সংসদে

এবারই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার সাংসদ হয়েছেন বিষ্ণপদ রায়। ১৯৯৯ সালে প্রথমবারের জন্য সাংসদ হয়েছিলেন। এরপর ফের ২০০৯ থেকে একটানা ২০১৯ পর্যন্ত বিজেপি সাংসদ ছিলেন। তবে ২০১৯-এ তাঁকে টিকিট দেয়নি দল। যদিও তার ফলও বিজেপি হাতেনাতে পায় বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের। সেই বছর ওই কেন্দ্রে ভোটে হারে বিজেপি। তাই এবার আর সেই একই ‘ভুল’ করেনি বিজেপি নেতৃত্ব। ২০২৪-এর নির্বাচনে তাঁর হাতেই ফের তুলে দেওয়া হয় ব্যাটন। আর দলের সেই আস্থার মানও রাখেন তিনি। অতীতের মতো ফের একবার সংসদে আন্দামান ও নিকোবরের পিছিয়ে পড়া জনজাতিদের সুবিধার অসুবিধার কথা তুলে ধরাই হতে চলেছে বিষ্ণুপদর প্রধান লক্ষ্য। এদিকে ভূমিপুত্রের এই সাফল্যে খুশি অশোকনগরবাসীও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *