পেনশন ও গ্র্যাচুয়িটি কর্মীর আর্জিত অধিকার: হাইকোর্ট – calcutta high court declared earned rights of pension and gratuity workers


এই সময়: পেনশন ও গ্র্যাচুয়িটি যে-কোনও কর্মীর অর্জিত অধিকার এবং তা থেকে তাঁকে বঞ্চিত করা যায় না বলে রায় দিল হাইকোর্ট। এক শিক্ষকের দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, যখন কোনও কর্মী পেনশন ও গ্র্যাচুয়িটি পাওয়ার যোগ্য হন, সেটা তাঁর প্রাপ্যই। বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের বক্তব্য, কোনও কর্মী যখন তাঁর চাকরিজীবনে সব দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করে অবসর নেন, তখন পেনশন ও গ্র্যাচুয়িটি তাঁর বিধিবদ্ধ প্রাপ্য।মামলাকারী কুণালচন্দ্র সেন ২০০৪ সালে চন্দননগর বঙ্গ বিদ্যালয়ে অস্থায়ী প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়ে পরের বছর স্থায়ী হন। অতিরিক্ত স্কুল পরিদর্শক তাঁর স্থায়ী প্রধান শিক্ষকের চাকরি নিশ্চিত করেন। ২০১৫-র ৩১ জুলাই তিনি অবসর নেন। ওই বছরই ওই প্রধান শিক্ষকের পেনশন, গ্র্যাচুয়িটি-সহ যাবতীয় প্রাপ্যের নথি হেড অফিসে পাঠানো হয়। কিন্তু অবসরের আগেই স্থানীয় এক বিধায়ক স্কুলশিক্ষা সচিবকে চিঠি দিয়ে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগ করেন।

তার পরেই কুণালবাবুর পেনশন ও গ্র্যাচুয়িটি আটকে দেওয়া হয়। যদিও বিধায়কের অভিযোগের কোনও সত্যতা পাওয়া যায়নি। অবসরপ্রাপ্ত ওই প্রধান শিক্ষক মামলা করলে প্রভিশনাল পেনশন চালু করা হয়। একই সঙ্গে আদালত সিবিআইকে দিয়ে অভিযোগ অনুসন্ধানেরও নির্দেশ দেয়। এরই মধ্যে হাইকোর্ট একাধিক নির্দেশ দেয়।

Kolkata High Court : গরিবের বিচার পেতে বাধা অর্থ, ফাঁসি রদ হাইকোর্টে

গত ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্ট ট্রেজারিকে নির্দেশ দেয়, রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে ২৮ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা জমা রাখতে হবে। তার পর আদালত সিবিআইয়ের রিপোর্ট চায়। রিপোর্ট দেখার পরে আদালতের বক্তব্য, যে অভিযোগ ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে করা হয়েছে, তার সঙ্গে পেনশন বা গ্র্যাচুয়িটির কোনও সম্পর্ক নেই।

কোনও কর্মীর চাকরি থেকে অবসরের পরে তাঁর পেনশন, গ্র্যাচুয়িটি-সহ কোনও প্রাপ্য এই অভিযোগের ভিত্তিতে আটকে রাখা যায় না। আদালত ওই অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের প্রাপ্য ২৮ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা ২০১৫ থেকে ৮% সুদ সমেত দু’সপ্তাহের মধ্যে মিটিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *