মলের বিভিন্ন তলা কালো ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে। আগুন নেভাতে গিয়ে ধোঁয়ার কারণে কোনওভাবেই যাতে দমকল কর্মীরা কেউ অসুস্থ হয়ে না পড়েন, সেই কারণে ভাঙা হয় মলের কাচ। আরও বেশ কিছু কাচ ভাঙা হতে পারে ধোঁয়া বার করার জন্য, দমকল সূত্রে খবর এমনটাই। অক্সিজেন মাস্ক পরে আগুন নেভানোর কাজ করছেন দমকল কর্মীরা।
শুক্রবার অনেকেই শহরের জনপ্রিয় এই শপিং মলে ভিড় জমিয়েছিলেন। কিন্তু, মলের মধ্যে কোনও সাধারণ মানুষ আটকে থাকার সম্ভাবনা কম বলেই জানাচ্ছে দমকল। যাঁরা মলের মধ্যে ছিলেন তাঁদের দাবি, গোটা মল কার্যত ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। সিঁড়ি ব্যবহার করে নীচে নামতে তাঁদের বিস্তর বেগ পোহাতে হয়।
দমকল ইঞ্জিনের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ করছে। ইতিমধ্য়েই ২টি হাইড্রোলিক ল্যাডার নিয়ে আসা হয়েছে আগুন নেভানোর জন্য। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ করা হচ্ছে। চার তলা পর্যন্ত দমকল কর্মীরা পৌঁছতে পেরেছেন এখনও পর্যন্ত, সংবাদ মাধ্যমে জানান এক দমকল কর্মী। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
শপিংমলের সামনের চত্বর গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে যাতে কেউ ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে। এই ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সকলকে মল থেকে নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঠিক কী কারণে এই অগ্নিকাণ্ড? তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিক অনুমান ফুড কোর্টে আগুন লাগে। যদিও বিস্তারিত তদন্তের পরই আগুন কোথায় এবং কী ভাবে লেগেছে তা বলা সম্ভব বলে জানাচ্ছে দমকল।