অন্যদিকে, রংপো থেকে মানসং, ১৭ মাইল, লাভা, গোরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি পর্যন্ত ছোট গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। কালিম্পং থেকে দার্জিলিঙের সব গাড়ি ২৭ মাইল, তিস্তা ভ্যালি দিয়ে যাতায়াত করানো হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যান চলাচলের ক্ষেত্রে এই নিয়ম মেনে চলার কথা জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, দার্জিলিঙের যান চলাচল ব্যবস্থার উন্নতিতে এবার বিকল্প রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। দার্জিলিং থেকে তিস্তা বাজার পর্যন্ত এবং বুংকুলুং থেকে কার্শিয়াং পর্যন্ত বিকল্প রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এই দুটি রাস্তা নির্মাণের ফলে দার্জিলিঙে ট্রাফিকের চাপ অনেকটাই কমানো যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
দার্জিলিং শহরের লেবং থেকে একটি রাস্তা তিস্তা বাজার পর্যন্ত তৈরি করা হচ্ছে। প্রায় ৩৫ কিমি দীর্ঘ এই রাস্তা। জোড়বাংলো বিপরীতে লেবং থেকে গ্যাংটক, কালিম্পং, শিলিগুড়ি থেকে প্রচুর গাড়ি যাতায়াত করে। পর্যটন মরশুমের সময় ট্রাফিকের চাপ অস্বাভাবিক হয়। বিকল্প রাস্তার ফলে গ্যাংটক এবং কালিম্পংগামী সহজেই দার্জিলিঙের আরেক প্রান্ত দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে।
এর পাশাপাশি, বুংকুলুং থেকে কার্শিয়াং পর্যন্ত ১৪ কিমি দীর্ঘ আরেকটি রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে, যায় জন্য মিরিক থেকে অনায়াসেই কার্শিয়াং পৌঁছনো যাবে। জিটিএর তরফে রাজ্য সরকারের পূর্ত দফতরকে দুটি রাস্তা নির্মাণের জন্য আবেদন করেছিল। এই দুটি রাস্তা নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে সবুজ সংকেত দিয়েছে রাজ্য। এছাড়াও বুংকুলুং থেকে সুখিয়াপোখরি, নাগরি হয়ে আরও একটি রাস্তা নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। যদিও, সেই রাস্তাটি নির্মাণের ব্যাপারে এখনও কোনও বার্তা আসেনি রাজ্য সরকারের তরফে।