সেইসঙ্গে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য ও জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার রাতেই দিঘায় পৌঁছন রাজ্যের মুখ্যসচিব। শুক্রবার সকাল থেকে দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের সভাগৃহে স্থানীয় প্রশাসন ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী ও হিডকোর প্রতিনিধিরা।
দিঘা জগন্নাথ মন্দিরের দু’ধারে যে সমস্ত ব্যবসায়ীরা দোকান পেতে ব্যবসা করছেন তাদের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দোকান সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে দিঘায় গড়ে ওঠা জগন্নাথ মন্দিরের মেন গেটের রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। এদিন মুখ্যসচিব, জেলাশাসক স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তা ও হিডকোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে বের হয়ে মুখ্যসচিব ও জেলাশাসক বিশেষ কোনও মন্তব্য করতে চান নি।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে জানিয়েছিলেন, দিঘার জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ। ঠাকুর চলে এসেছে। ভোট পর্ব মিটে গেলেই ঘটা করে মন্দির উদ্বোধন করা হবে। সেই মতো দ্রুততার সঙ্গে কাজ হয়ে চলেছে। আগামী ৭ ই জুলাই রথযাত্রা উৎসব। রথযাত্রার আগেই কি মন্দিরের উদ্বোধন হবে? তা এখনও স্পষ্ট ভাবে জানায়নি জেলা প্রশাসন। তবে জেলা ও রাজ্যের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে কবে উদ্বোধন হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দির। জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, দ্রুততার সঙ্গে মন্দির নির্মাণ ও আনুষাঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, দ্রুত এই মন্দির উদ্বোধন হবে। প্রসঙ্গত, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলেই এই মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্দির উদ্বোধনের অপেক্ষায় প্রহর গোনা শুরু।