কোথায় রয়েছেন পর্যটকরা?
দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং সহ বিস্তীর্ণ পাহাড়ি এলাকায় পর্যটকরা রয়েছে। এদিকে, সিকিমেও প্রচুর পর্যটক রয়েছেন। সিকিমে এখনও ১২০০ পর্যটক আটকে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের অধিকাংশই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। লাচুংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে পর্যটকরা আটকে রয়েছেন। তবে. প্রত্যেকেই সুষ্ঠ আছেন বলে জানা গিয়েছে। দার্জিলিং, কার্শিয়াঙে কোনও পর্যটক আটকে নেই।
কোন পথে যাতায়াত?
দার্জিলিং, কার্শিয়াং, মিরিকে পর্যটকরা যেতে পারছেন। দার্জিলিঙের রাস্তায় যেতে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না পর্যটকদের। তবে কালিম্পঙের রাস্তায় যেতে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পর্যটকদের। লাভা, গোরুবাথান হয়ে ঘুরে যেতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বেশ কিছুটা সময় লাগছে পর্যটকদের। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বেশ কিছু অংশে ধস নামার কারণে গাড়ির যাত্রাপথ পরিবর্তন করা হয়েছে। রবিবার ফের নতুন করে এই রাস্তায় বেশ কিছু জায়গায় ধস নামে। দ্রুত রাস্তা সারাইয়ের কাজ করে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার কাজ চলছে।
পর্যটকদের কী করণীয়?
শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং, কার্শিয়াং বা কালিম্পং যাওয়ার জন্য হাতে বেশ কিছুটা সময় রাখাই ভালো। যে কোনও জায়গাতেই পৌঁছিতে দুই থেকে চার ঘণ্টা বেশি সময় লাগছে। কালিম্পঙররাস্তায় ঘুরে যেতে হচ্ছে বলে সময় খানিকটা অতিরিক্ত লাগছে। বৃষ্টির কারণে গাড়ি চলাচলে গতি অনেকটাই কম। পাশাপাশি, প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্য গাড়ি ভাড়াও অনেকটা বেশি।
হিমলয়ান হসপিট্যালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘দার্জিলিঙে আসা পর্যটকদের কোনও সমস্যা হচ্ছেনা। দার্জিলিং যাওয়ার রাস্তা খোলা রয়েছে। তবে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে কিছু জায়গায় ধসের কারণে কালিম্পং আসা যাওয়া করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পর্যটকদের।’