Presidency Correctional Home,মাদকাসক্ত বন্দিদের আলোয় ফেরাতে কারা দপ্তরের ‘বিবর্তন’ – a mini hospital for drug addicted inmates set up at presidency correctional home


মাদকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগে গোরাবাজারের সুমন চৌধুরীকে (নাম পরিবর্তিত) মাস তিনেক আগে গ্রেপ্তার করেছিল দমদম থানার পুলিশ। মাদক না পেয়ে জেলে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। চিকিৎসা শুরু হলেও এখনও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি সুমন।সংশোধনাগারে থাকা সুমনের মতো মাদকাসক্তদের অন্ধকার থেকে আলোর পথে ফেরাতে নয়া পরিকল্পনা নিয়েছে কারা দপ্তর। এই মাদকাসক্তদের জীবনের মূলস্রোতে ফেরানোর জন্য ‘বিবর্তন’ নামে একটি কর্মসূচি চালু করা হচ্ছে রাজ্যে। নেশা ছাড়ানোর জন্য চিকিৎসার সঙ্গেই মাদকাসক্ত বন্দিদের যোগা ট্রেনিং, নাচ-গান-আবৃত্তি শেখানোর পাশাপাশি দেওয়া হবে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণও। পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে শুরু হয়েছে এই কর্মসূচিটি।

এই কর্মসূচির কারণ?
কারা দপ্তরের কর্তারা জানাচ্ছেন, এই কর্মসূচির মাধ্যমে সংশোধনাগারে থাকা মাদকাসক্ত বন্দিদের নেশা ছাড়ানো হবে। মাদক পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়ার পরে সংশ্লিষ্ট বন্দি যাতে জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করতে পারেন, সেজন্য তাঁদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে।

কারা দপ্তর সূত্রে খবর, মাদকাসক্ত বন্দিদের জন্য ১৫ শয্যার একটি মিনি হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে। যেখানে মাদকাসক্ত বন্দিদের চিকিৎসা চলবে। সেই সঙ্গে সকালের দিকে যোগার ক্লাস নেবেন বিশেষজ্ঞরা। এর বাইরেও নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি করা হবে এই বন্দিদের। শেখানো হবে নাচ-গান-আবৃত্তি।

বিকেলের দিকে নিয়মিত খেলাধুলোয় সামিল করা হবে এই বন্দিদের। সেই সঙ্গে চলবে কাউন্সেলিংও। কারা দপ্তরের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা। সেই সঙ্গে সংশোধনাগারে যাতে কোনও ভাবেই মাদক ঢুকতে না পারে, সে দিকে নজর দেওয়ার আর্জি জানাচ্ছেন তাঁরা।

মনোরোগের শিক্ষক চিকিৎসক রাজর্ষি নিয়োগী বলেন, ‘ভালো উদ্যোগ এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ মাদকাসক্তদের নতুন জীবনে ফেরাতে হলে অন্য কোনও জিনিসের সঙ্গে তাঁদের যুক্ত করতে হবে। তাহলেই সুফল মিলবে।’

পুজোর আগেই ৩ ফুড জোন শহরে, সিদ্ধান্ত পুরসভার

কারা দপ্তরের কর্তাদের বক্তব্য, এমন অনেক বন্দিকে তাঁরা দেখেছেন, যাঁরা মাদক না পেয়ে সংশোধনাগারে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন, আবার পরে নেশা কেটে যাওয়ার পরে অকপটে নিজের ভুলও স্বীকার করেছেন। প্রথম ধাপে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে শুরু হলেও কয়েক মাসের মধ্যেই রাজ্যের আরও চারটি জেলায় এই কর্মসূচি শুরু হবে। এই তালিকায় রয়েছে, বর্ধমান, দমদম, আলিপুর এবং মেদনীপুর সংশোধনাগার।

এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে কারামন্ত্রী অখিল গিরির বক্তব্য, ‘মাদকাসক্ত বন্দিরা যাতে নতুন জীবন শুরু করতে পারেন, সেজন্যই এই কর্মসূচি। এর ফলে অনেক বন্দি নতুন জীবন শুরু করতে পারবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *