চালের খুদ ,ছোলা, ভাত, আপেল ও বিভিন্ন ফল দেওয়া হয়। প্রত্যহ এসব খেতে হাজির হয় একঝাঁক টিয়া সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। এই তীব্র দাবদাহে পাখিদের জন্য জলের ব্যবস্থা রাখা হয়। আর এই সব নিষ্ঠার সঙ্গে করে চলেছেন চুঁচুড়া এই দম্পতি। দেবাশিস গুহঠাকুরতা একজন কেন্দ্রে সরকারের অবসর প্রাপ্ত কর্মী। এই 68 বছর বয়সেও নিজের জমানো টাকা দিয়ে মাসিক প্রায় হাজার পাঁচেক টাকা খরচ করে পাখিদের খাবারের ব্যবস্থা করে থাকেন।
তাঁর এই কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করেন স্ত্রী পুতুল গুহঠাকুরতা। কয়েকজন প্রতিবেশী প্রথম দিকে তাঁদের কিছুটা বিরোধিতা করলেও পাত্তা দেননি দম্পতি। তাঁরা এই কাজে অবিচল থেকে গিয়েছেন। পাখিদের খাবারের ব্যবস্থা করে চলেছেন বিগত আট বছর ধরে। তাঁদের দাবি, সকলে যদি এভাবে এগিয়ে আসে, তাহলে পরিবেশে খাবারের অভাবে থেকে সমস্ত ধরনের পাখিদের বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।
দেবাশিস গুহঠাকুরতা বলেন, ‘খাবারের অভাবে বেশ কিছু পাখি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। খাবারের সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায় বহু পাখির মৃত্যু পর্যন্ত হয়। এতে জীববৈচিত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের কাছে আমার বার্তা এই জীববৈচিত্র্যকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য পশু-পাখিদের খাবারের সংস্থান করা।’
তাঁর কথায়, এই তীব্র গরমে খাবারের সঙ্গে সঙ্গে জলের অভাব রয়েছে। সেই কারণেই ছাদে সেই ব্যবস্থা করেছি এই পাখিদের জন্য। এই পাখিদের আওয়াজে যখন সকালে ঘুম ভাঙে। এদের খাবারের ব্যবস্থা করি আর তারা যখন সেই খাবার খায় এর অনুভূতি কাউকে বলে বোঝানো যাবে না। তাই সকলের কাছে অনুরোধ এভাবেই যেন সকলেই এগিয়ে আসে। তাতে পরিবেশও সুন্দর হবে। পাখিপ্রেমী চন্দন ক্লেমেন্ট সিং বলেন, ‘দেবাশিস গুহঠাকুরতা যেভাবে কাজ করছেন খুবই ভালো উদ্যোগ। উনি দীর্ঘদিন ধরেই করছেন। ওঁর মতো আরও মানুষ এগিয়ে আসুক, সেটাই চাইব।’