100 days work,রাজ্যে একশো দিনের কাজ চালু হোক, সওয়াল সৌমিত্রর – bishnupur bjp mp saumitra khan wants 100 days work should be started in west bengal


এই সময়, বাঁকুড়া: রাজ্যে আবাস যোজনা, একশো দিনের কাজ চালুর পক্ষে সওয়াল করলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে তিনি চিঠি লিখবেন বলেও জানালেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ায় তিনি বলেন, ‘আমরা চাই পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন। গরিব মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা যেমন গোটা ভারতবর্ষ পাচ্ছে, আমার এলাকার গরিব মানুষ যেন তেমনই আবাস যোজনা পায়। তার জন্য আমি ২৪ তারিখ প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেব। আমি চাই এখানে ১০০ দিনের কাজ চালু হোক। পশ্চিমবাংলায় গরিব মানুষ ১০০ দিনের কাজ পাক।’এবারের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে তৃণমূলের ভালো ফলের পিছনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সাফল্যের সঙ্গে উঠে আসছে বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রের অনুদান বন্ধ করার বিষয়টিও। আবাস যোজনা, একশো দিনের কাজের মতো প্রকল্পে রাজ্যকে কেন্দ্রের টাকা না দেওয়ার বিষয়টি প্রচারে সফল ভাবে তৃণমূল তুলে ধরতে পেরেছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

এদিন সৌমিত্র আরও বলেন, ‘আমি চার বার জিতেছি। তিনবার সাংসদ, একবার বিধায়ক। একজনকে মানুষ চার বার ভোট দিচ্ছে, এটা তো এমনি এমনি মুখ দেখে দিচ্ছে না। নিশ্চয়ই কাজ, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখে দিচ্ছে। শুধুমাত্র বিরোধীদের মতো কথাবার্তা বলে, ১০০ দিনের টাকা আটকে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার কাজ না হলেও এটা হয় না। এবার আমাদের অন্য ভাবে ভাবতে হবে।’

একইসঙ্গে এদিন দলের রাজ্য নেতৃত্বের খামতির কথাও জানান সৌমিত্র। বলেন, ‘রাজ্য নেতৃত্বের উপর রাগও নেই, ভালোবাসাও নেই। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বারবার এত সুযোগ দেওয়া সত্ত্বেও আমরা লক্ষ্যে পৌঁছতে পারছি না। সেটা আমাদের ব্যর্থতা। সেটা আমাদের রাজ্য নেতৃত্বের ব্যর্থতা। সেই ব্যর্থতাটা স্বীকার করতে হয়।’

অভিষেকের প্রশংসার পর তৃণমূল নেতাকে প্রকাশ্যে প্রণাম, সৌমিত্রকে নিয়ে জোর জল্পনা

যোগ করছেন, ‘আমি বাঁকুড়া জেলা, বিষ্ণুপুর লোকসভার উন্নতির জন্য কাজ করব। মুকুটমণিপুরে, বাঁকুড়া-রানিগঞ্জ রুটে রেলপথের আবেদন করব। দুর্লভপুর পর্যন্ত যাতে দ্রুত ট্রেন চলে তার জন্য রেলমন্ত্রীকে জানাব। আমি ডেভেলপমেন্ট চাই।’ বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুরের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিতেও রাজি সৌমিত্র। এমনকী তাঁর সঙ্গে দেখাও করতে চান সাংসদ।

বলেন, ‘বাঁকুড়া জেলা বিষ্ণুপুর লোকসভার ডেভেলপমেন্টের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে যদি চিঠি দিতে হয়, যদি উনি বাঁকুড়ায় আসেন, আমাদের আমন্ত্রণ জানান, আমি দেখা করতেও রাজি। এটা কোনও অন্যায় নয়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী যদি নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেন, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর লোকসভার উন্নতির জন্য আমিও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *