Hooghly News,চাকরি ছেড়ে চিকেন-পোলাও কম্বোতে বাজিমাত, চুঁচুড়ার গ্র্যাজুয়েট পিউদির দোকানে উপচে পড়া ভিড় – hooghly ba pass peu das is selling pocket friendly combo in front of chinsurah court


যিনি রাঁধেন, তিনি গ্র্যাজুয়েশনও করেন, তিনি ‘স্বল্প’ দামে কম্বোও বিক্রি করেন! চুঁচুড়া কোর্ট চত্বরে এখন দুপুর হলেই ভিড় জমছে গ্র্যাজুয়েট পিউদির দোকানে। তাঁর ইউএসপি ‘পকেটফ্রেন্ডলি কম্বো’। বিশেষ করে তাঁর স্পেশাল পোলাও চিকেন কম্বো মন কেড়েছে ক্রেতাদের। এক মাসও নয় দোকানের আয়ু। এরই মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে ‘পিউয়ের হেঁশেল’।চুঁচুড়া ধরমপুর আদর্শপল্লির বাসিন্দা লক্ষণ ও দিপালী দাসের মেয়ে পিউ। বাবা লক্ষণ দাস বছর তিনেক আগে একটি ছোট্ট ঠেলা দোকান দিয়েছিলেন চুঁচুড়া কোর্টের মাঠের পাশে। তখনও পিউ কলেজ পড়ুয়া। চন্দননগর খলিশানি কলেজের ফিলোজফি অনার্সের ছাত্রী ছিলেন পিউ দাস। কলেজ শেষ করে প্রথমে তিনি হস্টেল ওয়ার্ডেন হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু, বরাবর রান্নার দিকে তাঁর বিশেষ ঝোঁক ছিল। সকলকে রেঁধে খাওয়াতে ভালোবাসতেন তিনি। তাই চাকরি ছেড়ে শুরু করেন নতুন ‘স্টার্টআপ’। পোলাও-চিকেন, ফ্রায়েড রাইস-আলুর দম বিক্রি করা শুরু করেন। কম দিনের পরিশ্রম আর খাবারের মানে নাম কিনেছেন পিউ। এখন দুপুর হলেই খদ্দেরদের ভিড় সামলাতে নাজেহাল হতে হয় তাঁকে। আর এই ব্যস্ততাই পাওনা পিউয়ের।

কিন্তু, চাকরি ছেড়ে ‘স্টার্ট আপ’-এর সাহস কোথা থেকে পেলেন তিনি? এই প্রসঙ্গে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে পিউ বলেন, ‘পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করছিলাম। কিন্তু, তারপর নিজের কিছু শুরু করার ইচ্ছে হয়েছিল। আমার রান্না করা শখ। সাধারণ মানুষের পকেটের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে যাতে তাঁদের প্লেটে খাবার তুলে দিতে পারি সেই জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এই জন্যই ব্যবসাটাকে নতুন করে দাঁড় করাই।’

‘হুট করে’ তাঁর এই কম্বো পরিকল্পনা মাথায় আসে। হালফিলে ‘এমএ পাশ চাওয়ালা’, ‘বিএ পাশ ফুচকাওয়ালা’-দের দোকান ব্যাপক ভাইরাল। আর সেই স্রোতে গা ভাসাতেই কি তিনি ‘গ্র্যাজুয়েট পিউদির দোকান’ নাম দিয়েছেন? এই প্রশ্নে হেসে তরুণীর জবাব, ‘আমি নামটা দিইনি। একজন ভিডিয়ো করতে এসেছিলেন। তিনিই দিয়েছেন।’ প্রতিদিন প্রায় ১৪ কেজির মাংস রান্না করছেন তিনি।

তিনি পোলাও-চিকেন কম্বোর দাম রেখেছেন ৫০ টাকা, পোলাও-আলুর দম কম্বোর দাম ৪০ এবং পোলাও-আলুর দম-চিকেন কষা কম্বোর দাম রেখেছেন ৭০ টাকা। এদিকে তাঁর রান্নার বিস্তর প্রশংসা শোনা যাচ্ছে গ্রাহকদের কণ্ঠে। এক ক্রেতা বলেন, ‘এত দামে এত ভালো খাবার সত্যিই ভাবা যায় না।’ অন্যদিকে, মেয়ের কীর্তিতে গর্বিত তাঁর বাবা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *