লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির ভরাডুবি হতেই বেসুরো হয়েছিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। ফের একবার রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন তিনি। এমনকি, নিজের এলাকার উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনের রাজ্যের যে কোনও তৃণমূল নেতৃত্বের দরবারে যেতে পারেন বলেও স্পষ্ট জানালেন বিজেপি সাংসদ।দলের ‘রাজ্য নেতৃত্বের উপর রাগও নেই, ভালোবাসাও নেই’ বললেন বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন ধলডাঙ্গা মোড়ে একটি বেসরকারি হোটেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই কথা বলার পাশাপাশি যদিও ফের দলবদল করে তৃণমূলে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন। তাঁর ব্যাখ্যা, বৃদ্ধদের উপরে রাগ করা যায় না৷ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এত সুযোগ দিলেও কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না, এটা রাজ্যের ব্যর্থতা৷ আমাদের অন্যভাবে ভাবতে হবে বলে স্পষ্ট ইঙ্গিত তাঁর।
একই সঙ্গে এদিন তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু-বিধান চন্দ্র রায়ের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘দু’টি পৃথক রাজনৈতিক দলের নেতা ছিলেন ওঁরা। তবুও খুব ভালো সম্পর্ক ছিল ওঁদের। আমিও বাঁকুড়া থেকে সেই চেষ্টাই করছি।’ এছাড়াও বাঁকুড়া সহ এ রাজ্যের উন্নয়নই তাঁর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য বলেও তিনি দাবি করেন। সেই কারণে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ যে কোনও তৃণমূলের মন্ত্রীদের সাহায্যের আশাপ্রার্থী তিনি।
একই সঙ্গে এদিন তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু-বিধান চন্দ্র রায়ের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘দু’টি পৃথক রাজনৈতিক দলের নেতা ছিলেন ওঁরা। তবুও খুব ভালো সম্পর্ক ছিল ওঁদের। আমিও বাঁকুড়া থেকে সেই চেষ্টাই করছি।’ এছাড়াও বাঁকুড়া সহ এ রাজ্যের উন্নয়নই তাঁর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য বলেও তিনি দাবি করেন। সেই কারণে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ যে কোনও তৃণমূলের মন্ত্রীদের সাহায্যের আশাপ্রার্থী তিনি।
সৌমিত্রর কথায়, ‘মুখ্যমন্ত্রী যদি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন, তাহলে বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়ার উন্নয়নের স্বার্থে আমি যদি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করি তাহলে অসুবিধা কোথায়?’ নিজের সাংসদ এলাকার উন্নয়নের জন্য যে কোনও দরজায় গিয়ে কড়া নাড়তে রাজি তিনি। যদিও, রাজনৈতিক মহলের ধারণা, নির্বাচনের পরেই এই ভাবে দলের নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে মুখ খোলার কারণে অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে।