পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অরূপ বলেন, ‘যাঁরা আমাদেরকে ভোট দেয়নি, তাঁরা এখন অনুশোচনায় ভুগছেন। সবাই ভালো থাকুক, লড়াই হোক রাজনৈতিকভাবে’। তবে বিরোধীদের কোনও পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না এমন সিদ্ধান্তই দলীয়ভাবে হয়েছে বলে তিনি জানান।
বাঁকুড়ার নব নির্বাচিত সাংসদের ব্যাখ্যা, ভোটের আগে অনেকেই আমাদের বিরুদ্ধে বিদ্রুপ, মিথ্যা অপপ্রচার করেছে। কিন্তু মানুষ ভোট দিয়ে আমাদেরকেই জিতিয়েছে। সেই কারণে, মানুষ বিরোধীদের থেকে মুখ সরিয়ে নিয়েছে। জনগণ আমাদের ভোট দিয়ে তাঁদের প্রত্যাখ্যান করেছে। অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা ওঁদের বিরুদ্ধে কোনওভাবেই প্রতিহিংসামূলক মনোভাব দেখাব না। আমাদের অনেক কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ থাকতেই পারে। তবে, সরকারি যে কোনও পরিষেবা থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা যাবে না।’
প্রসঙ্গত, বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্র থেকে ২০১৪ সালে জিতেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মুনমুন সেন। কিন্তু, ২০১৯ সালে এই আসনটি দখল করে নেয় বিজেপি। বিজেপির প্রার্থী সুভাষ সরকার এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হন এবং কেন্দ্রের মন্ত্রীও হন। এবার এই কেন্দ্রে সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হয়েছিল তালড্যাংরার বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তীকে। ৩২,৭৭৮টি ভোটের ব্যবধানে সুভাষ সরকারকে পরাজিত করেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী।