একে পথে হেঁটেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তরও। বিভিন্ন স্কুলে বিদ্যুতের খরচ কমানোর কথা বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নবান্নে প্রশাসনিক রিভিউ বৈঠকে সরকারি অফিসে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচ নিয়ে আধিকারিকদের ধমক দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাতেই এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করে পূর্ত দপ্তর। দপ্তরের অফিসারদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তালিকা পাঠানো হয়। সেখানে বলা হয়েছে, লিখিত নির্দেশ খুব শিগগিরই পাঠানো হবে।
সব দপ্তরেরই নির্দেশ কার্যত এক। তাতে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ এবং অন্যান্য খরচে রাশ টানাকেই মূল লক্ষ্য করতে হবে। অফিসে কেউ না থাকলে আলো-পাখা (জরুরি এবং সিসিটিভি ছাড়া) যাতে না চলে, তা নিশ্চিত করতে হবে। এসি যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করে সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল এবং এলইডি লাইট ব্যবহার করতে হবে। পূর্ত দপ্তরের নির্দেশে ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে প্রতিটি ডিভিশনে এক জন করে নোডাল অফিসারকে দায়িত্ব দিতে বলা হয়েছে।
তাঁরা নির্দেশগুলি ঠিকমতো মানা হচ্ছে কিনা সেটা দেখবেন। এই বিষয়ে কারওর কোনও প্রস্তাব থাকলে তাঁরা অফিসের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করতে পারেন। অন্যদিকে, বিদ্যুৎ অপচয় রুখতে এ বার স্কুলে-স্কুলে আচমকা পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের স্কুলশিক্ষা কমিশনারেট। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকদের (ডিআই) শুক্রবার এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্কুল ছুটি হওয়ার পরেও একাধিক স্কুলে অকারণে বিদ্যুৎ অপচয় হচ্ছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনুরোধ করা হচ্ছে যাতে অকারণে বিদ্যুৎ অপচয় না হয়। প্রয়োজনে স্কুলে সারপ্রাইজ ভিজিট করে এই বিষয়ে নজরদারি চালানো হবে।
