সেই চিঠিতে তাঁদের বক্তব্য, ‘বুস্টার পাম্পিং স্টেশন হোক। তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু কোনও ভাবেই যেন গাছের ক্ষতি না-হয়।’ স্থানীয়দের তরফে পার্কের দেওয়ালে সাঁটা হয়েছে একটি পোস্টার— ‘হৃষীকেশ পার্কে গাছ বাঁচিয়ে উন্নয়ন চাই।’ যদিও এখনও পর্যন্ত পার্কের কোনও বড় গাছ কাটা হয়নি। ওই এলাকার বাসিন্দা সজল মিত্র বলেন, ‘আমরা উন্নয়নের পক্ষে। তবে সে জন্য গাছ কাটা হোক, সেটা কোনও ভাবেই কাম্য নয়।’
আর এক বাসিন্দা মিহির চৌধুরীর বক্তব্য, ‘জমা জল বার করার জন্য পাম্পিং স্টেশন তৈরির অনেক জায়গা রয়েছে। আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসলে আমরা সেই জায়গা দেখিয়েও দেবো। কিন্তু কোনও ভাবেই গাছ কাটা চলবে না।’ বুস্টার পাম্পিং স্টেশনের জন্য গাছ কাটা হলে তাঁরা বড় আন্দোলনে নামবেন বলেও এলাকার মানুষদের একাংশ রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তর বক্তব্য, ‘উম্পুনের জেরে কলকাতা ৬ ফুটের বেশি উচ্চতার ১৫ হাজার গাছ হারিয়েছে। শহরে ক্রমশ কমছে গাছের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে কোনও ভাবেই পার্কে থাকা গাছ কাটা উচিত হবে না।’ পরিবেশবিজ্ঞানী অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, ‘শহরে যা গাছ রয়েছে, দূষণের মোকাবিলায় সেটা যথেষ্ট নয়। ফলে, পুরোনো গাছ কাটা হলে শহরে বাতাসে দূষণের মাত্রা আরও বাড়বে।’
ওই তল্লাট পড়ছে কলকাতা পুরসভার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে। সেখানকার কাউন্সিলার সাধনা বসু বলেন,’এখনও পর্যন্ত একটি গাছও কাটা হয়নি। আগামী দিনে গাছ কাটা হবে, এমনটা আমার জানা নেই।’