এই ঘটনাকে ঘিরে সাতসকালে চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই এলাকায়। পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই বিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার জানান, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিনে বারেবারেই সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে গণপ্রহারের ঘটনা। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে একটি শিশুর দেহ উদ্ধার হয়। তারপর সেখানে শিশুচুরি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে গুজব ছড়ায়। যার প্রেক্ষিতে বারাসত সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় ঘটে যায় একের পর এক গণপ্রহারের ঘটনা। এমনকী উত্তেজিত জনতার রোষ থেকে রেহাই পাননি মহিলারাও। পুলিশের তরফে অবশ্য প্রথম থেকেই দাবি করা হয়, গোটা বিষয়টিই গুজব, কেউ বা কারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই কাজ করছে। এমনকী মানুষকে গুজবে কান না দেওয়ার আবেদনও জানান হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। এরই মাঝে লাগাতার তদন্ত চালিয়ে এই গুজব ছড়ানোর মাস্টার মাইন্ডকে চিহ্নিত করে ফেলে পুলিশ। কাজিপাড়ায় নাবালক খুনের ধৃত আঞ্জিব নবিই গোটা ঘটনার নেপথ্যে বলে জানিয়ে দেন বারাসত পুলিশ জেলার এসপি প্রতীক্ষা ঝাড়খাড়িয়া। নিজের অপরাধ ঢাকতেই ওই ব্যক্তি এই ধরনের গুজব ছড়াচ্ছিল বলে জানান পুলিশ সুপার।