ফের গণপ্রহার। এবার ঘটনাস্থল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা। চুরি যাওয়া মোটরবাইক সহ চোরকে ধরা হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। তারপরেই শুরু হয় মারধর। রীতিমতো হাত পিছন দিকে বেঁধে রাস্তা দিয়ে হাঁটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া অভিযুক্তকে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ।অভিযোগ, চন্দ্রকোনা পুরসভা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাজকুমার খামরুইয়ের মোটরবাইকটি কয়েকদিন আগে চুরি যায়। যার প্রেক্ষিতে চন্দ্রকোনা থানায় অভিযোগও দায়ের করেন রাজকুমার। এই ঘটনার পর গড়বেতার বাসিন্দা দুলাল জমাদার নামে এক যুবকের উপরে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। যার প্রেক্ষিতে কয়েকজন মিলে রবিবার রাত দু’টো নাগাদ ওই যুবকের বাড়িতে যান। সেখানেই চুরি যাওয়া গাড়ি সহ দুলালকে পাওয়া যায় বলে দাবি। এরপরেই মারধর শুরু হয়। তারপর হাত পিছন দিকে বেঁধে হাঁটিয়ে নিয়ে এসে তাকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। যদিও স্থানীয়দের কারও কারও অভিযোগ, এই ঘটনার সময় পুলিশ পালটা তাঁদেরকেই মারধর করেছে। ঘটনায় সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে চুরি করার কথা স্বীকার করতেও দেখা হিয়েছে অভিযুক্তকে।

এই ঘটনাকে ঘিরে সাতসকালে চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই এলাকায়। পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই বিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার জানান, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিনে বারেবারেই সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে গণপ্রহারের ঘটনা। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে একটি শিশুর দেহ উদ্ধার হয়। তারপর সেখানে শিশুচুরি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে গুজব ছড়ায়। যার প্রেক্ষিতে বারাসত সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় ঘটে যায় একের পর এক গণপ্রহারের ঘটনা। এমনকী উত্তেজিত জনতার রোষ থেকে রেহাই পাননি মহিলারাও। পুলিশের তরফে অবশ্য প্রথম থেকেই দাবি করা হয়, গোটা বিষয়টিই গুজব, কেউ বা কারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই কাজ করছে। এমনকী মানুষকে গুজবে কান না দেওয়ার আবেদনও জানান হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। এরই মাঝে লাগাতার তদন্ত চালিয়ে এই গুজব ছড়ানোর মাস্টার মাইন্ডকে চিহ্নিত করে ফেলে পুলিশ। কাজিপাড়ায় নাবালক খুনের ধৃত আঞ্জিব নবিই গোটা ঘটনার নেপথ্যে বলে জানিয়ে দেন বারাসত পুলিশ জেলার এসপি প্রতীক্ষা ঝাড়খাড়িয়া। নিজের অপরাধ ঢাকতেই ওই ব্যক্তি এই ধরনের গুজব ছড়াচ্ছিল বলে জানান পুলিশ সুপার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version