এই বিষয়ে সিপিএম নেতা রবীন দেব বলেন, ‘আমাদের পার্টি কমিটির মতামত নেয়, আবার যাঁরা ভোটে কাজ করেছেন তাঁদেরও মতামত নেয়। তারপরেও যে সমস্ত মানুষ আমাদের ভোট দেয়, তারাও ভোট সংক্রান্ত মতামত দিতে পারে। যারা সাধারণ মানুষ, ভোটার, তাদেরও তো কোনও মতামত থাকতে পারে। সেই কারণেই মানুষের মাতমত চাওয়া হচ্ছে।’
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কোনও আসন আসেনি বামেদের ঝুলিতে। একই ছবি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও। তাহলে কি মানুষের মতামত নিয়েই ২০২৬ সালের স্ট্র্যাটিজি ঠিক করতে চাইছে সিপিএম? এই প্রশ্নের উত্তরে রবীন দেব বলেন, ‘মানুষই ইলেক্ট করে, মানুষই রিজেক্ট করে। মানুষের কথাই বড় কথা। মানুষই আমাদের ৩৪ বছর ইলেক্ট করেছে। আবার এই মানুষই আমাদের রিজেক্ট করে। তাই সেই মানুষের উপরে তো ভরসা রাখতে হবে।’ পাশাপাশি সিপিএম-এর তরুণ নেতা সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, ‘এটা হচ্ছে মানুষের কথা সরাসরি দলীয় নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে দেওয়ার একটা মাধ্যম। তারপর সেগুলি নিয়ে আলোচনা হবে।’
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করছেন, বাম আমলের শেষের দিকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে শাসকদলের নেতা-কর্মীদের যোগাযোগ নেই বলে বারেবারেই অভিযোগ উঠত। সাধারণ মানুষের দাবিদাওয়া বা আশা আকঙ্খা উপলব্ধিই করতে পারতেন না তাঁরা। ফলে ক্রমশ জনগণের মন থেকে হারিয়ে গিয়েছিল বামেরা। যার ছবিও ফুটে উঠেছিল ভোটবাক্সে। পরবর্তী নির্বাচনগুলিতে কমতে কমতে বাংলায় শেষ শূন্যে পরিণত হয়েছে সিপিএম তথা সমগ্র বামফ্রন্ট। সেক্ষেত্রে মানুষের মতামত গ্রহণের মধ্যে দিয়েই সিপিএম ফের একবার বঙ্গবাসীর মনে ফিরতে চাইছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।