যদিও রাতে আশিসকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘কলকাতায় যখন স্পিকার উপস্থিত রয়েছেন, তখন আমার শপথবাক্য পাঠ করানো কাম্য নয়। আমি এটা করলে স্পিকারের সম্মানহানি হবে।’ বিধানসভা সূত্রের খবর, বিধানসভার বিধি ও সংবিধানের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখে আজকের বিশেষ অধিবেশনেই শপথগ্রহণ পর্বের ফয়সালা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে বাবুল সুপ্রিয়র শপথগ্রহণের সময়েও ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব অর্পণ করেন তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তবে তিনি রাজি না-হওয়ায় রাজ্যপাল স্পিকারকেই শপথবাক্য পাঠ করানোর অনুমতি দিয়েছিলেন। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘আইন অনুযায়ী এই বিষয়টির মীমাংসা হবে। বিধানসভা ইজ় নট হেল্পলেস টু দ্য হ্যান্ড অফ গভর্নর। শুক্রবার পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। যদি কেউ মনে করেন, আমরা অসহায় হয়ে গিয়েছি, এটা তাঁর ভুল ধারণা।’
আজ বেলা ২টোয় বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন শুরু হবে। তার আগে বিধানসভার কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হবে। সদস্যসমাপ্ত বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের দুই জয়ী প্রার্থী সায়ন্তিকা ও রেয়াত এ দিনও বিধানসভায় ধর্নায় বসেছিলেন। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, রাজ্যপাল ছাড়া কোনও শপথগ্রহণ হয় না, এই ধারণা ঠিক নয়।
তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘রাজ্যপাল নিজের সম্মান রেখে যে কাজ করতে পারতেন অথবা করাতে পারতেন, তা না করে তিনি যদি নিজের সম্মান নিজে নষ্ট করেন, তার দায় রাজ্যপালেরই।’ আজকের বিশেষ অধিবেশনেই সায়ন্তিকাদের শপথগ্রহণ পর্ব যদি সম্পূর্ণ হয়, তাহলে তা বিরল নজির তৈরি করবে। এই অধিবেশনে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি থাকবে না বলেই গেরুয়া শিবির সূত্রের খবর।