আদিগঙ্গার পাড়ে জবরদখল উচ্ছেদ নিয়ে বারুইপুর মহকুমাশাসক চিত্রদীপ সেনের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হল বারুইপুর মহকুমাশাসকের দফতরে। বৈঠকে সেচ দফতরের আধিকারিকরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বারুইপুর ও সোনারপুরের বিডিও ৷ উপস্থিত ছিলেন বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ আধিকারিকরা এবং রাজপুর সোনারপুর পুরসভার CIC নজরুল আলি মণ্ডল ও বারুইপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম দাস ৷
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আদিগঙ্গার পাড় থেকে বেআইনি দখলের সরানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ শুধু তাই নয়, নতুন করে যাতে কোনও দখলদারি না হয় তার জন্য রাস্তার দুইপাশে ফেন্সিং দিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। মহকুমা শাসক চিত্রদীপ সেন বলেন, ‘সেচ দফতরের এটি একটি প্রজেক্ট। কামালগাজি মোড় থেকে বারুইপুরের শাসন পর্যন্ত যে খালটি রয়েছে, তার দুই দিকে সৌন্দর্যায়ন করা হবে। সেই কারণেই সমস্ত স্টেক হোল্ডাদের নিয়ে একটি বৈঠক করা হল।’ খুব শীঘ্রই এর কাজ শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
বারুইপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম দাস জানান, আদি গঙ্গার পাড় ধরে একদিকে যেমন উচ্ছেদ প্রক্রিয়া চলবে, পাশাপাশি আদি গঙ্গার দুই ধারে সৌন্দর্যায়নের কাজও চলবে। আগামী অগাস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে এই কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, যে সমস্ত বেআইনি দখলদার ব্যবসায়ীরা রয়েছেন, তাঁদের পুনর্বাসনের বিষয়টি আলোচনার স্তরে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত বছর বারুইপুর পদ্মপুকুর থেকে শাসন যাওয়ার বাইপাস আদি গঙ্গার পাশে পদ্মপুকুর থেকে বংশী বটতলা মোড় পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার গঙ্গার পাড় সাজানোর কাজ করা হয়। কিছুদিন পরে তার বেহাল দশার অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা। তবে, এবার কোনও নির্দিষ্ট অংশ নয়, প্রায় ১৭ কিমি বিস্তৃত পুরো অংশটি সাজানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।