তার মধ্যেই যে সব জায়গা থেকে আগেই হকার সরানো হয়েছিল সেখানে আবার নতুন করে পসরা সাজিয়ে বসছেন হকাররা। মুখ্যমন্ত্রী বলার পরেই হাতিবাগান এবং গড়িয়াহাটের ফুটপাথ রাতারাতি খালি করে দেওয়া হয়েছিল। আবার তা ভরতে শুরু করেছে।
নিয়ম অনুযায়ী, ফুটপাথের এক তৃতীয়াংশ জায়গা হকারদের জন্য ছেড়ে রেখে বাকি অংশ পথচারীদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু কয়েক দিন যেতে না যেতে আবারও সেখানে হকাররা বসতে আরম্ভ করেছেন। শুক্রবার বিকেলে হাতিবাগান এবং গড়িয়াহাট দুই জায়গাতেই গিয়ে দেখা গিয়েছে, ফুটপাথের সিংহভাগ অংশ দখল করে বসে রয়েছেন হকাররা। আইন অনুসারে, ফুটপাথের একদিকেই শুধুমাত্র বসতে পারেন হকাররা।
এদিন হাতিবাগান এবং গড়িয়াহাটে গিয়ে ঠিক তার উল্টো ছবি দেখা গিয়েছে। হাতিবাগানের এক হকারের বক্তব্য, ‘আমরা ২০-২৫ বছর ধরে ব্যবসা করছি। পুলিশ বলেছে আমাদের বিকল্প ব্যবস্থা করে দেবে। সেটা যতদিন না হচ্ছে আমরা এখানে বসেই ব্যবসা করব।’
গড়িয়াহাটের এক হকার বলেন, ‘পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের বলেছিল, পলিথিনের ছাউনি খুলে দিতে। আমরা তা সরিয়েও দিয়েছিলাম। কিন্তু বৃষ্টির জন্য পলিথিন টাঙাতে বাধ্য হয়েছি। নাহলে মালপত্র সব নষ্ট হয়ে যাবে।’
তবে ধর্মতলার ছবিটা তুলনামূলক ভাল। আগে গ্র্যান্ড হোটেলের সামনের ফুটপাথের দু’দিকেই পসরা সাজিয়ে বসতেন হকাররা। পুলিশি অভিযানের পর থেকে হকাররা একদিকেই পসরা সাজিয়ে বসছেন। ফলে ফুটপাথ দিয়ে নিশ্চিন্তে চলাফেরা করতে পারছেন পারছেন পথচারীরা।
কলকাতা পুরসভা এবং নিউ মার্কেটের আশপাশের রাস্তায় গত কয়েক দিন ধরেই কোনও হকার বসছে না। হকাররা যাতে ফের রাস্তায় বসতে না পারে তার জন্য পুরসভার সামনে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, হকাররা সরে যেতেই তাঁদের বিক্রিবাটা বেড়েছে।
হকার সংগ্রাম কমিটির সম্পাদক শক্তিমান ঘোষ বলেন, ‘আমরা বলেছি সবাই আইন মেনে ব্যবসা করুক। গোটা ফুটপাথ দখল করে কিংবা রাস্তায় বসে কেউ যদি হকারি করে সেটা বেআইনি। এক্ষেত্রে পুলিশ ব্যবস্থা নিলে আমাদের কিছু বলার থাকবে না। কিন্তু যারা নিয়ম মেনে ব্যবসা করছে তাদের যেন সরানো না হয়।’
এপ্রসঙ্গে পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, ‘কোথায় কোথায় বেআইনি হকার রয়েছে আমরা তার তালিকা তৈরি করছি। কেউ যদি জোর করে বসে পড়ে তাদের ভবিষ্যতে আবারও সরিয়ে দেওয়া হবে। বেআইনি ভাবে কাউকে হকারি করতে দেওয়া হবে না।’