নবান্ন সূত্রের খবর, রাজ্যের হোর্ডিং পলিসি কী হবে, তার প্রাথমিক খসড়া ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত করে ফেলেছে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। তাতে বলা হয়েছে, পুরসভাগুলি আর নিজেদের খেয়ালখুশি মতো যেখানে সেখানে হোর্ডিং লাগানোর অনুমতি দিতে পারবে না। প্রতিটি শহরে ‘নো হোর্ডিং জোন’ চিহ্নিত করে দেওয়া হবে। নো হোর্ডিং জোনের মধ্যে পড়বে হেরিটেজ ভবন, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট, শ্মশান ও কবরস্থান ন্যাশনাল ফরেস্ট, ডিস্ট্রিক্ট ফরেস্ট এবং জলাশয়।
এছাড়া মন্দির, মসজিদ, চার্চ এবং গুরুদ্বোয়ারা সহ যে কোনও ধর্মসংস্থানের সামনে হোর্ডিং লাগানো নিষিদ্ধ করা হবে। নয়া হোর্ডিং নীতিতে সাফ জানানো হয়েছে, বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং লাগাতে গিয়ে কারও বাড়িতে আলো-বাতাস ঢোকা বন্ধ করা যাবে না। বাড়ির ওপেন স্পেসও ব্লক করা যাবে না। যেখানে জীবনহানির আশঙ্কা রয়েছে সেখানে হোর্ডিং লাগানোর অনুমতি দেওয়া হবে না।
হোর্ডিং লাগানোর ফলে শহরের নান্দনিক সৌন্দর্য ব্যাহত হচ্ছে কিনা, সেটাও বিবেচনা করে দেখা হবে। ট্র্যাফিক লাইট পোস্টে হোর্ডিং লাগানোর ছাড়পত্র মিলবে না। হোর্ডিংয়ের মধ্যে লাল এবং সবুজ আলোর ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হবে। ঝড়, বৃষ্টি কিংবা ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় যাতে হোর্ডিং ভেঙে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে, সেটা সুনিশ্চিত করতে ইঞ্জিনিয়ারকে দিয়ে হোর্ডিংয়ের ‘স্ট্রাকচারাল ডিজাইন’ জমা দিতে হবে।
নিয়মিত ভাবে সেটাকে ইন্সপেকশন করতে হবে এবং সেই রিপোর্ট জমা করতে হবে পুরসভার কাছে। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘এতদিন সে অর্থে রাজ্যের কোনও হোর্ডিং নীতি ছিল না। ফলে পুরসভাগুলো নিজেদের ইচ্ছামতো হোর্ডিং লাগাতে দিতো। আগামী দিনে তাদের নতুন নীতি মেনে চলতে হবে।’