Kolkata Municipal Corporation,জলের বেআইনি কারবার নিয়ে অভিযানে পুরসভা – kolkata municipal corporation decide to search the source of illegal water distribution


পুরসভার কলের জল জারে ভরে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। অথচ এর এক পয়সা রাজস্বও পুরসভার ঘরে ঢোকে না। এ বার তাই শহর জুড়ে এই বেআইনি জলের ব্যবসা রুখতে অভিযানে নামবে পুরসভা। শনিবার এ কথা জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘বেশ কিছু জায়গা থেকে পুরসভার কলের জল বেআইনি ভাবে বিক্রির খবর পেয়েছি আমরা। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’বছর ১৫ আগে জল উৎপাদনের ব্যয় নিয়ে একটা হিসেব কষেছিল কলকাতা পুরসভা। তাতে দেখা যায়, প্রতি হাজার লিটার জল পরিস্রুত করে ট্যাঙ্কারে তুলে এলাকায় পাঠাতে খরচ চার টাকার আশপাশে। সেই সমীক্ষকদের অনুমান, এখন অঙ্কটা বেড়ে সাত টাকারও বেশি হতে পারে। হিসেবেই স্পষ্ট যে কলকাতার বাসিন্দাদের পরিস্রুত পানীয় জল দিতে পুরসভার ভালোই খরচ হয়। অথচ এই জল নিয়েই গড়ে উঠেছে বেআইনি কারবার। বেহালায় এই অভিযোগে ধরাও পড়েছেন কয়েক জন।

কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় ভূগর্ভস্থ জলের স্তর ক্রমাগত নামার ইঙ্গিত মিলতেই টিউবওয়েলের ব্যবহার কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পুরসভা। বিভিন্ন এলাকায় বসানো কলে পরিশোধিত জল পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেই জলই জারে ভরে শুরু হয় বেআইনি জলের ব্যবসা।

হকার ও বেআইনি নির্মাণ নিয়ে উত্তপ্ত পুরসভার অধিবেশন

মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় পাঁচ, দশ এবং কুড়ি লিটারের জারে বিক্রি হয় জল। ২০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয় এক একটি জলের জার। যে সব এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় জল মেলে না, সেখানকার বাসিন্দাদের কাছে এর ব্যাপক চাহিদা। এই জলের কারবারে যুক্ত ব্যক্তিরা রীতিমতো কর্মী নিয়োগ করে ব্যবসা চালান বলে অভিযোগ।

পুরসভার কলে জল এলে জার ভরে অর্ডার অনুযায়ী বিভিন্ন, আবাসন, দোকান, বাড়িতে তা সরবরাহ করা হয়। এ ভাবেই শহর জুড়ে জল নিয়ে গজিয়ে উঠেছে বেআইনি কারবার। যা রুখতে কড়া পদক্ষেপের পথে পুরসভা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *