সংসদে গড়িয়া-বারুইপুর মেট্রো প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে তিনি যাবতীয় প্রচেষ্টা করবেন বলে জয়ের পরেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সায়নী ঘোষ। আর সেই মতো এবার সংসদে বিষয়টি উত্থাপনও করলেন সায়নী। সংসদের অধিবেশনে বলতে উঠে সায়নী বলেন, ‘২০১১-১২ সালের রেল বাজেটে বারুইপুর-কবি সুভাষ মেট্রোর (গড়িয়া মেট্রো এক্সটেনশন) প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু তারপর থেকে কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ হয়নি। বারুইপুর কলকাতা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে একটি উন্নয়নশীল শহর। জনসংখ্যা ৫ লক্ষেরও বেশি।’ সায়নী আরও বলেন, ‘২০১৭ সালে আদিগঙ্গা বরাবর লাইন তৈরির পরিকল্পনা করা হয়, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কিছুই হয়নি।’যাদবপুরের সাংসদের সংযোজন, ‘এই বিলম্বের বিষয়টি আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারেবারেই রেলমন্ত্রকের কাছে উত্থাপন করেছেন। বেশকিছু চিঠিও লেখা হয়েছে। এমনকী বারুইপুর পশ্চিমের বিধায়ক তথা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকারও বেশকিছু চিঠি দিয়েছেন।’ এরপরেই সায়নীয় আবেদন, ‘এই লাইনটি বারুইপুরের গ্রাম এবং শহর, উভয় জায়গার মানুষের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিদিন কলকাতায় যাতায়াত করেন। তাই এই মেট্রো স্টেশন যত তাড়াতাড়ি হয়, তত ভালো।’ যদিও সায়নীয় এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মেট্রো রেলের মুখ্যজনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্রকে প্রশ্ন করা হলেও সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি।
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটে জয়ের পরেই বারুইপুর মেট্রো নিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে সায়নী বলেছিলেন, ‘মানুষ চাইলে এই মেট্রো প্রকল্প (গড়িয়া-বারুইপুর মেট্রো) হওয়া উচিত। এই মেট্রোর কাজ নিয়ে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও বেশকিছুবার মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু তাদের তরফে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। সেটা নিয়ে আবারও কথা বলব। বারুইপুরের মানুষের যদি দাবি থাকে, তাহলে আজ নয়তো কাল নিশ্চয় বাস্তবায়িত হবে।’ সেই মতোই বিষয়টি সংসদে উত্থাপন করলেন সায়নী। প্রসঙ্গত, শহর কলকাতায় একাধিক প্রকল্পের উপরে কাজ চালাচ্ছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। অনেক ক্ষেত্রে কাজ বেশকিছুটা এগিয়েও গিয়েছে। আর এই বারুইপুরের মেট্রো লাইন বাস্তবায়িত হলে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মানুষের যাতায়াতে আরও অনেকটাই সুবিধা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।