কাউন্টারে লাইন, ট্রেনের টিকিট কাটার মেশিন নিয়ে প্ল্যাটফর্মে হাজির TTE – eastern railway asansol division takes initiative to reduce the crowd at ticket counters know details


এই সময়, আসানসোল: আর মিনিট পাঁচেকের মধ্যে প্ল্যাটফর্মে ঢুকবে বাড়ি ফেরার ট্রেন। এ দিকে, টিকিট কাউন্টারে লম্বা লাইন। কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না? এমন সময়ে যদি টিকিট কাটার মেশিন নিয়ে সামনে হাজির হন খোদ টিকিট পরীক্ষক (TTE), কেমন হয়? গল্প নয়, আসলেই এই পরিষেবা দিচ্ছে রেল। শ্রাবণী মেলার কথা মাথায় রেখে রবিবার থেকে নতুন এই উদ্যোগের সূচনা হয়েছে পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনে।শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে প্রতিদিনই পুণ্যার্থীদের ব্যাপক ভিড় জমছে দেওঘর, বৈদ্যনাথ ধাম, বাসুকিনাথ ও জসিডি স্টেশনে। রবিবার থেকে আপাতত এই চারটি স্টেশনে টিকিট পরীক্ষকরা যাত্রীদের কাছে গিয়ে টিকিট ইস্যু করছেন। এই পরিষেবার পোশাকি নাম মোবাইল টিকিটিং।

এ প্রসঙ্গে আসানসোল ডিভিশনের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার মার্শাল এ সিলভা বলেন, ‘বর্তমানে ৬ জন টিকিট পরীক্ষককে মোবাইল টিকিটিং সার্ভিসের আওতায় হ্যান্ড সোয়াইপ মেশিন দেওয়া হয়েছে। ওই মেশিনের মাধ্যমে টিকিট কাটছেন পুণ্যার্থী-সহ সাধারণ যাত্রীরা। নগদে টিকিট কাটা ছাড়া ওই মেশিনের মাধ্যমে এটিএম কার্ড সোয়াইপ বা কিউআর কোড স্ক্যান করে টিকিট কাটা যাবে। ডিআরএম চেতনানন্দ সিংয়ের নির্দেশে মোবাইল টিকিটিং ছাড়াও দেওঘর, বৈদ্যনাথ ধাম, বাসুকিনাথ ও জসিডি স্টেশনে অতিরিক্ত টিকিট কাউন্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

মার্শাল এ সিলভা জানান, রেলকর্তাদের কাছে আরও ২০টি হ্যান্ড সোয়াইপ মেশিন চাওয়া হয়েছে যাতে আগামীদিনে আসানসোলের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে মোবাইল টিকিটিং পরিষেবা চালু করা যায়। ইতিমধ্যে এই পরিষেবার সুবিধা পেয়েছেন আসানসোলের বাসিন্দা শুভেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, ‘সোমবার এই অভিনব সিস্টেমে টিকিট কেটে আমরা আসানসোলে ফিরেছি। কোনও লাইন না দিয়ে এ ভাবে টিকিট কেটে অনেকটাই সময় বেঁচেছে। দুর্গাপুর, আসানসোলের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে এই পরিষেবা চালু হলে খুবই ভালো হয়। দুর্গাপুজো বা ছটের মতো উৎসবের সময়ে খুবই কাজে লাগবে এই পরিষেবা।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *