এদিকে রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে যান আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল। তিনি ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার পাশাপাশি নদীপথে নৌকায় মানুষের যাতায়াতের বিষয়টিও প্রশাসনকে গুরুত্ব সহকারে দেখতে বলেন। যদিও নদী পারাপারের মাধ্যমে যাতায়াত শুরু হলেও স্থানীয়দের বক্তব্য যেভাবে বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়া হচ্ছে, তাতে নদীতে জলের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে নৌকা চলাচল কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠবে। সেক্ষেত্রে ফের যাতায়াত তথা মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার ক্ষেত্রে তাঁদেরকে সমস্যায় পড়তে হতে পারে বলেই আশঙ্কা এলাকাবাসীর।
প্রসঙ্গত, শনিবার দু’টি ব্যারেজ থেকে ৭৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এই বিষয়ে ডিভিসি-র পক্ষ থেকে জানা হয় যে, জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়িয়ে রাতে ১ লক্ষ কিউসেক করা হয়। সেক্ষেত্রে বৃষ্টির জলের সঙ্গে এই জল দুর্গাপুর ব্যারেজ হয়ে নেমে এলে বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, হাওড়া এবং হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা থাকছে। এদিকে রাজ্যকে না জানিয়ে ডিভিসির এই জল ছাড়া নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে শনিবার নবান্নে বৈঠকও করেন মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকা।