দক্ষিণবঙ্গে একটানা বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়া শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর ধীরে ধীরে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বৃদ্ধি করা হবে। এদিকে বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়া শুরু হওয়ায় হাওড়া জেলার আমতা উদয়নারায়ণপুরে প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়া শুরু হওয়ার পরেই তীব্র স্রোতের জেরে ভেঙে পড়ল আমতা বিধানসভার ভাটোরায় মুণ্ডেশ্বরী নদীর উপরে থাকা ৪টি বাঁশের সেতু। ফলে ওই অঞ্চলের সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল।স্থানীয় সূত্রে খবর শনিবার বিকেল থেকেই স্থানীয় মুণ্ডেশ্বরী নদীতে জলের চাপ বাড়তে থাকে। রাত ১০ টা নাগাদ জলের চাপে এক এক করে কুলিয়া ঘাট, আজানগাছি ঘাট, গায়েনপাড়া ঘাট এবং পানশিউলি ঘাটের বাঁশের সেতু ভেঙে পড়ে। ফলে ব্যাপক দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন ওই অঞ্চলের লোকজন। পরপর বাশের সেতু ভেঙ্গে যাওয়ায় ওই সব অঞ্চলের মানুষ যাতে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারেন, তার জন্য নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রবিবার সকাল থেকেই নৌকার মাধ্যমে নদী পারাপার শুরু করেছেন এলাকার বাসিন্দারা।

এদিকে রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে যান আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল। তিনি ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার পাশাপাশি নদীপথে নৌকায় মানুষের যাতায়াতের বিষয়টিও প্রশাসনকে গুরুত্ব সহকারে দেখতে বলেন। যদিও নদী পারাপারের মাধ্যমে যাতায়াত শুরু হলেও স্থানীয়দের বক্তব্য যেভাবে বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়া হচ্ছে, তাতে নদীতে জলের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে নৌকা চলাচল কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠবে। সেক্ষেত্রে ফের যাতায়াত তথা মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার ক্ষেত্রে তাঁদেরকে সমস্যায় পড়তে হতে পারে বলেই আশঙ্কা এলাকাবাসীর।

প্রসঙ্গত, শনিবার দু’টি ব্যারেজ থেকে ৭৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এই বিষয়ে ডিভিসি-র পক্ষ থেকে জানা হয় যে, জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়িয়ে রাতে ১ লক্ষ কিউসেক করা হয়। সেক্ষেত্রে বৃষ্টির জলের সঙ্গে এই জল দুর্গাপুর ব্যারেজ হয়ে নেমে এলে বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, হাওড়া এবং হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা থাকছে। এদিকে রাজ্যকে না জানিয়ে ডিভিসির এই জল ছাড়া নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে শনিবার নবান্নে বৈঠকও করেন মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version