Russia Ukraine War : অবশেষে মিলল সুখবর! রাশিয়া থেকে উরগেনকে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু – kalimpong administration initiative to return urgen tamnag stuck in russia ukraine war


অবশেষে মিলল সুখবর! ফিরিয়ে আনা হচ্ছে রাশিয়ায় আটকে পড়া ভারতীয় উরগেন তামাংকে। ফ্রন্ট লাইন থেকে ৩০ কিলোমিটার ভেতরে জঙ্গল লাগোয়া ছোট শহরে আনা হয়েছে। উরগেনকে নথি জমা দিতে বলা হয়েছে। সঙ্গে শ্রীলঙ্কার কর্মীও ফিরেছেন। তামিলনাড়ুর দুই ব্যক্তির খোঁজ চলছে।শনিবার গভীর রাতে উরগেন এই ব্যাপারে কালিম্পংয়ের পুর প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রায় ছয় মাস আগে উরগেন রাশিয়ায় গিয়েছিলেন। তাঁকে বলা হয়েছিল রাশিয়ায় সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি দেওয়া হবে। রাশিয়ায় পৌঁছে তাঁকে ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করতে হবে বলে জানানো হয়

গত ছয় মাস ধরে কালিম্পংয়ের উরগেন তামাং (৪৭) রাশিয়ার সৈন্যবাহিনীর সঙ্গে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লড়ছেন। বিষয়টি জানাজানি হতেই তৎপরতা শুরু করে কালিম্পং প্রশাসন। কালিম্পং পুরসভার চেয়ারম্যান রবি প্রধানের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়। উরগেন আগেই জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার বাইরে থেকে ১৫ জনকে যুদ্ধ করতে নিয়ে আসা হয়েছিল। এদের মধ্যে ১৩ জন মৃত বলেও খবর।

রাশিয়ায় ভারতীয় দূতাবাস উরগেনকে উদ্ধারের আশ্বাস দেয়। উরগেন জানতে পেরেছিলেন, ভারত সরকারের হস্তক্ষেপে রাশিয়া থেকে ১৫ জন ভারতীয়কে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে ইতিমধ্যে। তাঁরা সকলেই এজেন্টদের মাধ্যমে এ দেশে ঢুকে যুদ্ধে সামিল হতে বাধ্য হয়েছিলেন। উরগেন দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে।

Wayanad Landslide: ওয়েনাড়ের বিপদ লুকিয়ে কি উত্তরবঙ্গের পাহাড়েও?
ফ্রন্টলাইন থেকে দূরে সরিয়ে তাঁকে একটি সমুদ্রের ধারের ছোট জঙ্গলে রাখা হয়েছে। সেখানেও ইউক্রেনের ড্রোনের নজরদারি রয়েছে বলে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। প্রতিদিন ভয়ে ভয়ে কাটছে তাঁর। কালিম্পংয়ের পুর প্রধান অবশ্য আগেই জানিয়েছিলেন, যে ভাবে হোক, উরগেনকে উদ্ধার করে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া চলছে। তিনি নিজে দিল্লিতে রাশিয়ার দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। চিঠিও পাঠিয়েছিলেন। এবার উরগেনের দেশে ফেরার অপেক্ষা। কয়েকটা দিনের অপেক্ষা! তিনি কবে দেশে ফিরে আসেন সেটাই এখন দেখার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *