গত ছয় মাস ধরে কালিম্পংয়ের উরগেন তামাং (৪৭) রাশিয়ার সৈন্যবাহিনীর সঙ্গে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লড়ছেন। বিষয়টি জানাজানি হতেই তৎপরতা শুরু করে কালিম্পং প্রশাসন। কালিম্পং পুরসভার চেয়ারম্যান রবি প্রধানের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়। উরগেন আগেই জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার বাইরে থেকে ১৫ জনকে যুদ্ধ করতে নিয়ে আসা হয়েছিল। এদের মধ্যে ১৩ জন মৃত বলেও খবর।
রাশিয়ায় ভারতীয় দূতাবাস উরগেনকে উদ্ধারের আশ্বাস দেয়। উরগেন জানতে পেরেছিলেন, ভারত সরকারের হস্তক্ষেপে রাশিয়া থেকে ১৫ জন ভারতীয়কে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে ইতিমধ্যে। তাঁরা সকলেই এজেন্টদের মাধ্যমে এ দেশে ঢুকে যুদ্ধে সামিল হতে বাধ্য হয়েছিলেন। উরগেন দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে।
ফ্রন্টলাইন থেকে দূরে সরিয়ে তাঁকে একটি সমুদ্রের ধারের ছোট জঙ্গলে রাখা হয়েছে। সেখানেও ইউক্রেনের ড্রোনের নজরদারি রয়েছে বলে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। প্রতিদিন ভয়ে ভয়ে কাটছে তাঁর। কালিম্পংয়ের পুর প্রধান অবশ্য আগেই জানিয়েছিলেন, যে ভাবে হোক, উরগেনকে উদ্ধার করে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া চলছে। তিনি নিজে দিল্লিতে রাশিয়ার দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। চিঠিও পাঠিয়েছিলেন। এবার উরগেনের দেশে ফেরার অপেক্ষা। কয়েকটা দিনের অপেক্ষা! তিনি কবে দেশে ফিরে আসেন সেটাই এখন দেখার।