Rg Kar Hospital,এক মাস উধাও ডাক্তার-পড়ুয়া CBI নজরে – medical pgt missing after rg kar hospital incident


এই সময়: গত ৯ অগস্ট তরুণী চিকিৎসকের খুন-ধর্ষণের দিন সন্ধ্যায় শেষ বার আরজি কর হাসপাতালে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রথম বর্ষের অর্থোপেডিক স্নাতকোত্তরের এক পড়ুয়া বা পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি (পিজিটি)। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, চিকিৎসকদের একটি লবি-র অতি ঘনিষ্ঠ ওই পিজিটি তার পর থেকেই গায়েব।কেউ কেউ বলছেন, এর মাঝে মালদায় নাকি ওই চিকিৎসককে একদিন দেখা গিয়েছিল। তবে সোমবার পর্যন্ত তাঁর কোনও খোঁজ পায়নি কেউ। ফলে রহস্য দানা বাঁধছে তাঁকে নিয়ে। আচমকা ওই চিকিৎসকের একমাস ধরে বেপাত্তা হয়ে যাওয়ার বিষয়টি রয়েছে সিবিআই স্ক্যানারেও।

তদন্তকারীরা জেনেছেন, মালদা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করার পরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে রেডিওলজি বিভাগে এত দিন আরএমও হিসেবে কর্মরত ছিলেন ওই চিকিৎসক। সার্ভিস কোটায় এর পর অর্থোপেডিকে স্নাতকোত্তর এমএস পড়ছেন গত কয়েক মাস ধরে।

কলকাতা মেডিক্যালের এক জুনিয়র ডাক্তার বলেন, ‘ওঁকে শেষ দেখা দিয়েছিল গত ৯ অগস্ট সন্ধ্যায় আরজি করের প্ল্যাটিনাম জুবিলি বিল্ডিংয়ের বাইরে, যখন নির্যাতিতার দেহ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁর বাবা-মা, ঠিক তখনই।’ হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই পিজিটি-র জন্য কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের কোনও হস্টেলের কোনও ঘর সরকারি ভাবে বরাদ্দ নেই।

তিনি আরও অনেক ঘরহীন পিজিটি-র মতো অন্যদের সঙ্গে থাকতেন ১১তলা হস্টেলের একটি ঘরে। অথচ এই ধরনের ঘরগুলি পড়ুয়াদের থাকার জন্য তৈরিই হয়নি। এক্সটার্নাল এগজ়ামিনার্সদের জন্য ওই ঘরগুলি গেস্টরুম হিসেবে তৈরি। সেখানে পড়ুয়ারা যে বাধ্য হয়ে থাকেন, সে বিষয়ে বারংবার কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও কোনও লাভ হয়নি।

হাসপাতালের অন্য একটি সূত্রের দাবি, সম্প্রতি মেডিক্যাল কলেজের ৬ নম্বর গেটের অদূরে উদয়ন হস্টেলে তিনি একটি ঘর পেয়েছিলেন। অভিযোগ উঠেছে, কোনও এক ‘অজ্ঞাত কারণে’ সেখানে তিনি থাকতেন না।

ডাক্তার-কর্তৃপক্ষ বৈঠকের মধ্যেই হামলা সাগর দত্তে, জখম ২

জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশের বক্তব্য, অর্থোপেডিক বিভাগের পিজিটি-দের নিয়ে নানা সময় নানা অভিযোগ ওঠে। বিভিন্ন সময়ে র‍্যাগিং, যৌন হেনস্থার মতো গুরুতর অভিযোগও উঠেছে ওই বিভাগের পিজিটি-দের বিরুদ্ধে। ইন্টার্নদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।

গায়েব চিকিৎসক সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে এ দিন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, ‘এখন তো কর্মবিরতি চলছে। হাজিরা খাতায় সই-ও করছেন না জুনিয়র ডাক্তাররা। ফলে কে আসছেন আর কে আসছেন না, তা বলা মুশকিল। অর্থোপেডিকের ওই স্নাতকোত্তর পড়ুয়া চিকিৎসক এখন কোথায় থাকছেন, তা বলা সম্ভব নয়।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *