Abhishek Banerjee: ফল খারাপের সমীক্ষার রিপোর্ট অভিষেকের কাছে – abhishek banerjee office received report of the civic body survey


এই সময়, বারাসত: প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য পুরসভার চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান কতটা সময় দেন। পাশাপাশি দলের টাউন প্রেসিডেন্ট কতটা সক্রিয়—এমন নানা ধরনের প্রশ্ন করা হয়েছে কাউন্সিলারদের। গত লোকসভা নির্বাচনে পুরসভা ভিত্তিক তৃণমূলের ফলাফল খারাপ হওয়ার পর দলের রাজ্য নেতৃত্ব নির্দেশ দিয়েছিলেন পুরসভা ধরে ধরে সমীক্ষা করতে। সম্প্রতি সেই কাজ শুরু হয়েছে।প্রথম পর্যায়ে সমীক্ষার কাজ শেষ হওয়ার পর সেই রিপোর্ট দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে জমা পড়েছে। তৃণমূলের তদন্তকারী টিমের সদস্যরা জানিয়েছেন, পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, শহর তৃণমূলের সভাপতি, কাউন্সিলারদের কাজে সন্তোষজনক রিপোর্ট পাননি। সমীক্ষার সেই রিপোর্ট অনুযায়ী এ বার ময়না-তদন্তের কাজ শুরু করতে চলেছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূলের এক নেতা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দপ্তরে রিপোর্ট জমা পড়েছে।

গ্রাউন্ড রিপোর্ট অনুযায়ী হয়তো পুজোর আগেই সাংগঠনিক স্তরে রদবদল হতে পারে। কয়েক মাস আগেই লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে। সামগ্রিক ফল ভালো হলেও শহরকেন্দ্রিক এলাকায় দলের পারফরম্যান্স সন্তোষজনক নয়। মধ্যমগ্রাম থেকে বারাসত, হাবরা থেকে বনগাঁ, তৃণমূলের পরাজয়ের ছবিটা সব পুরসভা এলাকায় একই রকম। এ ক্ষেত্রে দলীয় নেতাদের একাংশের মাতব্বরি দায়ী বলে মনে করেছে দলের একাংশ।

পাশাপাশি দলের নেতাদের মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ না থাকাটাও পরাজয়ের অন্যতম কারণ বলে ধরে নিয়েছেন দলের রাজ্য নেতৃত্ব। দলের পরাজয়ের কারণ জানতে পুরসভা ভিত্তিক সার্ভের কাজ শুরু করেছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। তৃণমূলের দু’টি টিম সার্ভের কাজ শুরু করে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জেলায় দু’টি টিম একেবারে আলাদা আলাদা করে এই কাজ করেছে।

একটি টিম সরাসরি পুরসভার চেয়ারম্যানকে ফোন করে নির্দিষ্ট একদিনে সমস্ত কাউন্সিলারদের পুরসভায় হাজির থাকার কথা বলেছেন। ওই নির্দিষ্ট দিনে কাউন্সিলারদের আলাদা করে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন টিমের সদস্যরা। মূলত তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য পুরসভার চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান কেমন সময় দেন।

কাউন্সিলারদের কাছে জানতে চাওয়া হয় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান বা শহর তৃণমূলের সভাপতি পরিবর্তন জরুরি কি না? নিজের ওয়ার্ডে কাউন্সিলার অফিস রয়েছে কিনা, তাও জানতে চাওয়া হয়। তবে বারাসত মহকুমার বিভিন্ন পুরসভার অনেক কাউন্সিলার নিজেদের কাউন্সিলার অফিস নেই বলে জানিয়েছেন। ওয়ার্ডে অফিস করার জন্য নির্দেশও দেওয়া হয়েছে কাউন্সিলারদের। বারাসত এবং হাবরার কয়েকজন কাউন্সিলার জানিয়েছেন, সরকারি পরিষেবার বিষয় নিয়ে ওঁনারা আমাদের বেশি প্রশ্ন করেছেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *