গতকালই জুনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে বৈঠকে বসার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচারের শর্ত নিয়ে টানাপোড়েন চলে দীর্ঘক্ষণ। সর্বোপরি মিটিং ভেস্তে যায়। গতকালই, ফের জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যে একের পর এক মানুষের মৃত্যু ঘটছে হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা না পাওয়ার জন্য বলে দাবি করেছিলেন তিনি। যদিও, কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার ব্যাপারে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
গতকালই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সময় পেরিয়ে গিয়েছে। আমি যত দূর জানি, সুপ্রিম কোর্ট বলেছে রাজ্য পদক্ষেপ করলে তারা বাধা দেবে না। কিন্তু আমি নিজে কিছু করব না। রাজ্যের বহু মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছেন না। ইতিমধ্যে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে (গতকাল পর্যন্ত)। সাত লক্ষ মানুষ বঞ্চিত হয়েছেন। আমার হৃদয় কাঁদছে।’ মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন থেকে জানিয়ে দেন, এরপর আর তিনি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেবেন না। জুনিয়র ডাক্তারেরা যদি বৈঠক করতে চান, তাহলে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং নবান্নের অন্যান্য আধিকারিক যেন বৈঠক করেন এবং তাঁদের বক্তব্য শোনেন।