ক্যাপশনে পার্থকে ‘গডফাদার’ বলেও উল্লেখ করেন (‘এই সময়’ এই স্ক্রিনশটের সত্যতা যাচাই করেনি)। শতরূপ বলেন, ‘সঞ্জীব দাস নাকি অতিবাম নেতা। অথচ তিনি ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে বলেছেন মাই গডফদার। পার্থ চট্টোপাধ্যায় তো মাও সে তুং নন, কিষেণজি নন।
আসলে এক তৃণমূলকর্মীর ছেলেকে অতিবাম সাজিয়ে কলতানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ যদিও কুণাল ঘোষের দাবি, ‘কে কবে কী করেছে, তা আমরা জানি না। সঞ্জীবকে আমরা চিনি না। আগে কী করত, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ নয়। এখন কী করে, সেটাই বিচার্য।’
যদিও শতরূপের প্রশ্ন, ‘এফআইআর-র কপি থেকে দেখা যাচ্ছে ১৩ তারিখ দুপুর ২:১৫ মিনিটে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই অভিযোগ দায়ের হওয়ার কিছু পরেই কুণাল ঘোষ সাংবাদিক বৈঠক করে অডিয়ো প্রকাশ করেন। এখন কি বিধাননগর পুলিশের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ? এই অডিয়ো যদি পুলিশ নিজস্ব সূত্রে পেয়ে থাকে তা হলে তা তৃণমূলের হাতে গেল কী করে?
আদালতে আমাদের আইনজীবী এমন অনেক প্রশ্ন তুলবেন।’ সিপিএমের আরও অভিযোগ, পুলিশ কলতানকে গ্রেপ্তার করার আগেই অনেক তৃণমূলকর্মী তাঁদের ফেসবুকে ওই অডিয়ো পোস্ট করে দাবি তোলেন, অডিয়োয় কলতানের কণ্ঠস্বর রয়েছে।
যদিও কুণালের বক্তব্য, ‘সিপিএম প্রথমে বলুক, এই কণ্ঠস্বর কলতানের কি না? যাঁরা এই আলোচনায় ছিলেন, তাঁদের থেকেই অডিয়ো আমার কাছে এসেছে। পুলিশের কাছেও হয়তো গিয়েছে। সিপিএমের যাঁরা এত অডিয়ো-ভিডিয়ো নিয়ে কথা বলেন, তাঁরা সুশান্ত ঘোষকে কি জিজ্ঞাসা করেন তাঁর ভিডিয়ো জাল কি না?’
কলতানের গ্রেপ্তারির সঙ্গে সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের গ্রেপ্তারির তুলনাও টেনেছে সিপিএম। নিরাপদকে গ্রেপ্তার করার পর তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। হাইকোর্টে এ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল পুলিশ। জামিন পেয়েছিলেন এই সিপিএম নেতা।