বাঁকুড়া মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ত্রাণসামগ্রী কেনার জন্য জুনিয়র ডাক্তাররা নিজেদের মধ্যেই চাঁদা তুলে অর্থ সংগ্রহ করেন। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন সিনিয়র ডাক্তাররাও। এর পর দোকান থেকে কেনা হয় চাল, ডাল, আলু, সোয়াবিন, তেল, চিনি। এর পাশাপাশি কেনা হয় মুড়ি, বিস্কুট, কলা, পাউরুটি, কেকের মতো কিছু শুকনো খাবারও।
বন্যার কারণে ডায়েরিয়া সমেত বিভিন্ন রোগজ্বালাও হতে পারে। সে কথা মাথায় রেখে ওই সব রোগ নিরাময়ের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধও নেওয়া হয় ঝুলিতে। সঙ্গে ওআরএস। শুক্রবার সকালে ওই সব ত্রাণসামগ্রী ও ওষুধ একটি ম্যাটাডোরে বোঝাই করে বাঁকুড়া থেকে পাঁশকুড়ার উদ্দেশে রওনা দেয় জুনিয়র ডাক্তারদের প্রায় ২০ জনের একটি টিম। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পাঁশকুড়ায় পৌঁছে যান তাঁরা।
বন্যা দুর্গত এলাকা থেকে কিছুটা দূরে গাড়ি রেখে সমস্ত ত্রাণসামগ্রী ও ওষুধপত্র নিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর বোটে চড়ে পশ্চিম নেকড়া গ্রামে পৌঁছোন তাঁরা। সেখানে জল পেরিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে দুর্গত মানুষদের হাতে তুলে দেন বয়ে আনা বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী। খোঁজ নেন কারও জ্বর, পেট খারাপ বা অন্য কোনও অসুস্থতা রয়েছে কি না।
সেই মতো বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেন। বানভাসি ওই গ্রামে সুযোগ মতো অভয়া ক্লিনিকের মাধ্যমে হেল্থ চেকআপও করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। অবশিষ্ট ত্রাণসামগ্রী তাঁরা স্থানীয় মানুষের হাতে দিয়ে আসেন বিলি করার জন্য। বাঁকুড়া মেডিক্যালের জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, ‘ডাক্তারের কাজই মানুষের পাশে দাঁড়ানো। সেই মানবিকতার খাতিরেই আমাদের এই উদ্যোগ।’