তাঁর মৃত্যুর পর শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমার শ্রদ্ধেয় সহকর্মী, বসিরহাটের সাংসদ হাজি নুরুল ইসলামের মৃত্যুতে দুঃখিত। তিনি প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকার একজন নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবক ছিলেন এবং তিনি অনগ্রসর অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের উন্নতির জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন। বসিরহাটের মানুষ তাঁর নেতৃত্ব মিস করবে। আমি তাঁর পরিবার, বন্ধু-বান্ধব এবং সহকর্মীদের প্রতি সমবেদনা জানাই।’
দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন হাজি নুরুল। চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনেও বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে তাঁকেই প্রার্থী করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় তিন লক্ষেরও বেশি ভোটে বসিরহাট লোকসভা থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন হাজি নুরুল। এর আগে দু’বার তিনি হাড়োয়া বিধানসভা থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৯ সালেও বসিরহাট লোকসভা থেকে দাঁড়িয়ে তিনি জয়ী হয়ে পার্লামেন্টে যান।
হাজি নুরুল ইসলাম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য হজ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৯৮ সাল থেকেই তিনি তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। বাম আমলে বারাসাত ১ পঞ্চায়েত সমিতি ও পরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদে তৃণমূলের নির্বাচিত প্রতিনিধি ও বিরোধী দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন প্রবীণ নেতা। দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। চিকিৎসার কারণে মাঝে কয়েকদিন দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতাল এবং মুম্বইয়ের এইমস হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন নুরুল। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়ানোর পর থেকেই তাঁকে অসুস্থতাজনিত কারণে বেশ কয়েকবার হাসপাতালে যেতে হয়েছিল।