প্রয়াত বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ হাজি নুরুল ইসলাম। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া রাজনৈতিক মহলে।জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুর ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ দত্তপুকুর থানার বহেড়া এলাকায় নিজের বাড়িতেই মৃত্যু হয় তাঁর। দলীয় নেতা ও সাংসদের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে বসিরহাট-সহ উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই সাংসদকে শেষবারের জন্য দেখতে তাঁর বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।

তাঁর মৃত্যুর পর শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমার শ্রদ্ধেয় সহকর্মী, বসিরহাটের সাংসদ হাজি নুরুল ইসলামের মৃত্যুতে দুঃখিত। তিনি প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকার একজন নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবক ছিলেন এবং তিনি অনগ্রসর অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের উন্নতির জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন। বসিরহাটের মানুষ তাঁর নেতৃত্ব মিস করবে। আমি তাঁর পরিবার, বন্ধু-বান্ধব এবং সহকর্মীদের প্রতি সমবেদনা জানাই।’

দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন হাজি নুরুল। চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনেও বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে তাঁকেই প্রার্থী করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় তিন লক্ষেরও বেশি ভোটে বসিরহাট লোকসভা থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন হাজি নুরুল। এর আগে দু’বার তিনি হাড়োয়া বিধানসভা থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৯ সালেও বসিরহাট লোকসভা থেকে দাঁড়িয়ে তিনি জয়ী হয়ে পার্লামেন্টে যান।

মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় দেখেই দৌড়, কী দাবি ডানকুনির তৃণমূল কাউন্সিলরের?
হাজি নুরুল ইসলাম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য হজ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৯৮ সাল থেকেই তিনি তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। বাম আমলে বারাসাত ১ পঞ্চায়েত সমিতি ও পরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদে তৃণমূলের নির্বাচিত প্রতিনিধি ও বিরোধী দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন প্রবীণ নেতা। দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। চিকিৎসার কারণে মাঝে কয়েকদিন দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতাল এবং মুম্বইয়ের এইমস হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন নুরুল। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়ানোর পর থেকেই তাঁকে অসুস্থতাজনিত কারণে বেশ কয়েকবার হাসপাতালে যেতে হয়েছিল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version