Kazi Nazrul Islam University,ধর্ষণে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে সুপারিশ, তবু পদোন্নতি! হতাশ ছাত্রী – durgapur kazi nazrul islam university student disappointed over authorities role


অধ্যাপকের দ্বারা ধর্ষিত হওয়ার পরে দুর্গাপুরের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের একাংশের ভূমিকায় চরম হতাশ নির্যাতিত বাংলাদেশি ছাত্রী। অভিযুক্তর সাজা নিশ্চিত না-করে যে ভাবে তাঁকেই (ওই ছাত্রীকে) পুলিশ দিয়ে সীমান্ত পার করিয়েছেন কর্তৃপক্ষ, তাতে সুবিচার পাওয়ার আশা কার্যত ছেড়েই দিয়েছিলেন ওই তরুণী।অথচ গত বছর মার্চে ধর্ষণের ঘটনার পর অভিযুক্ত অধ্যাপক তাঁকে খুনের চেষ্টা করলে বাংলাদেশ হাইকমিশন পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করেছিল। তার পর ওই তরুণীর নিরাপত্তায় ২৪ ঘন্টা দু’জন করে মহিলা পুলিশকর্মী তাঁর সঙ্গে থাকতেন। তার পরেও অভিযুক্ত অধ্যাপকের মানসিক নির্যাতনে তিনি অসুস্থ হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

ঘটনার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য আইসিসি-র সুপারিশ মেনে অভিযুক্ত অধ্যাপককে সাসপেন্ড করে তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তৎকালীন উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী বলেন, ‘আইসিসি ধর্ষণ হয়েছে বলে রিপোর্ট দিয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের সুপারিশ করেছিল। ইউজিসি-র গাইডলাইন মেনেই পদক্ষেপ করা হয়েছিল। কিন্তু গত বছর মে মাসে আমি ওই বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে আসার পরে শুনেছি, সাসপেনশন তুলে নিয়ে ওই অধ্যাপককে ফেরানো হয়েছে। তাঁর নাকি পদোন্নতিও হয়েছে!’

সদ্য ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে ইস্তফা দেওয়া দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘একজন দোষী সাব্যস্ত না হলে তাঁকে দিনের পর দিন প্রতিষ্ঠানের বাইরে রাখা যায় না। তাই ফেরানো হয়েছিল। মামলা চলছে। দোষী সাব্যস্ত হলে নিশ্চয়ই আদালতের নির্দেশেই পদক্ষেপ করা হবে।’

Calcutta High Court: শ্লীলতাহানির মিথ্যা অভিযোগ, নজির গড়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় হাইকোর্ট

শনিবার বাংলাদেশ থেকে নির্যাতিত তরুণী বলেন, ‘গত বছর ৩১ মার্চ রাতে ঘটা ধর্ষণের কথা এবং তার আগে বাংলার ওই অধ্যাপকের নানা আপত্তিকর আচরণের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়কে জানিয়েছিলাম, পুলিশেও অভিযোগ করেছিলাম। কিন্তু বিচার পাইনি। বরং গত অক্টোবরে পুলিশ দিয়ে আমাকে পেট্রাপোল সীমান্ত পার করিয়ে দেওয়া হয়। তার পর থেকে যত বার ফেরার জন্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করেছি, ফেরা যাবে না বলে জানানো হয়েছে। এ বছর পরীক্ষা দিতেও দেওয়া হয়নি।’

হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে তরুণীর পাশে দাঁড়ানো আইনজীবী অরুনাংশু চক্রবর্তী বলেন, ‘১৯৯৬ সালে শীর্ষ আদালত ধর্ষণের একটি মামলায় পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল, কোনও সরকারি কর্মী প্রতিষ্ঠানের ভিতরে এমন ঘটনা ঘটালে তার দায় বর্তাবে সরকারের উপরে। এই বিষয়টিও হাইকোর্টে মামলায় যুক্ত করা হয়েছে। সোমবার প্রধান বিচারপতির এজলাসে শুনানির কথা।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *