মঙ্গলবার ‘জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট’-এর অন্যতম মুখ কিঞ্জল নন্দ এই বিষয়ে মুখ খুললেন। তিনি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় আরজি করের নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে একাধিক বিভ্রান্তিকর মন্তব্য ছড়ানো হচ্ছে। গত ৯ অগস্ট প্রথমে আমরা জানতে পারি দ্বিতীয় বর্ষের পিজিটি-র ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আমরা সেখানে যাই এবং বুঝতে পারি তাঁকে খুন করা হয়েছে। আমরা ময়নাতদন্তের জন্য চাপ দিয়েছিলাম যাতে কোনওভাবেই খুনের ঘটনা আত্মহত্যার দিকে না গড়ায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ময়নাতদন্ত নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে। নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত হয় বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে। সেখানে ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে জুনিয়র ডাক্তারদের সই থাকলেও ময়নাতদন্তের স্বচ্ছতার দায় তাঁদের উপর বর্তায় না। আমরা চেয়েছিলাম কোনওভাবেই যাতে এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালানো না হয়। আমরা স্বল্পজ্ঞানে সেই চেষ্টা করি। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। এর তীব্র নিন্দা করছি।’
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার থেকে ফের পূর্ণ কর্মবিরতির ঘোষণা করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। ১০ দফা দাবিতে তাঁদের এই কর্মবিরতির ডাক।