রাজ্যের অতিরিক্ত স্বাস্থ্য অধিকর্তা সুদেষ্ণা গুপ্ত ওই কমিটির চেয়ারপার্সন এমবিবিএস পরীক্ষার আসন বিন্যাস, নম্বরে কারচুপি এবং থ্রেট কালচারের আমদানি করার অভিযোগ বীরভূমের ওই সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ করবী বড়াল এবং দুই প্রাক্তন ডিন স্বরূপ সাহা ও কৌশিক করের বিরুদ্ধে৷ গত ২৪ সেপ্টেম্বর এ নিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজের ৫১ জন পড়ুয়া৷ এর প্রেক্ষিতেই সোমবার স্বাস্থ্য দপ্তরের পদক্ষেপ।
রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ করবী বড়ালের বিরুদ্ধে ওই ৫১ জন পড়ুয়ার অভিযোগ— তিনি ওই মেডিক্যাল কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেওয়া ইস্তকই থ্রেট কালচার শুরু হয়েছে এবং বেড়েছে বহিরাগতদের দাপট ও ‘দাদাগিরি’। অধ্যক্ষ, একাধিক বহিরাগত চিকিৎসক ও মেডিক্যাল কলেজের কয়েক জন সিনিয়র চিকিৎসকের সমর্থনে এই থ্রেট কালচার উত্তরোত্তর বেড়েছে বলে ক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের দাবি।
তবে পড়ুয়াদের লিখিত অভিযোগে প্রধানত যাঁকে দায়ী করা হয়েছে, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সেই করবী বড়াল মঙ্গলবার বলেন, ‘তদন্ত কমিটির সঙ্গে আমি বসতে প্রস্তুত। আমি কোনও রকম অন্যায় করিনি।’
অভিযোগকারী পড়ুয়াদের অবশ্য দাবি, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের শীর্ষ স্তর এবং বহিরাগত ও প্রভাবশালী একটা চক্রের মদতে যোগসাজস করে ডাক্তারির পড়ুয়াদের একাংশের পরীক্ষার নম্বর বাড়িয়ে রেজ়াল্টে কারসাজি করা হয়েছে। এটাও অভিযোগ যে, এমবিবিএস পরীক্ষায় বসার সিট বিন্যাস থেকে শুরু করে পরীক্ষার নম্বর— সবই হয়েছে মস্তানি, দাদাগিরি, হুমকির মাধ্যমে৷ এই সব বিষয়ও পাঁচ সদস্যের ওই তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখবে বলে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর।
প্রতিবাদীদের আরও দাবি, তাঁদের মধ্যে যাঁরা থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন, উল্টে সেই জুনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধেই তদন্ত কমিটি গঠন করে তাঁদের উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে এবং কারসাজি করা হয়েছে তাঁদের পরীক্ষার রেজ়াল্টে। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে, এই দাবি তুলে সরকারের বিভিন্ন জায়গায় চিঠি দেন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা। রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তাকে তাঁরা চিঠি দেন। অবিলম্বে ব্যবস্থা না-নিলে জুনিয়র চিকিৎসকরা বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন।