চা বাগানে মানুষ হওয়ায় শ্রমিকদের কষ্ট খুব কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। লড়েছেন অনটনের সঙ্গে। স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে নিজে বিউটিশিয়ান কোর্স করে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে বীরপাড়া বাজারে বিউটি পার্লার খুলেছেন। সপ্তাহ এক দিন দোকান বন্ধ রেখে ছোটেন প্রত্যন্ত গ্রামে।
দীক্ষা বলেন, ‘ক্রিম, কাঁচি, চিরুনি, আয়না ট্রিমার নিয়ে শনিবার গ্যারগেন্ডা চা-বাগানে এসে ৫৫ জনের চুল-দাড়ি কেটেছি। চেয়ার জোগাড় করেছি শ্রমিকদের বাড়ি থেকে। নতুন জামাকাপড় কিনতে না পারলেও পুজোর সময়ে সবাই একটু ফিটফাট থাকতে চায়। বিশ্বাস করুন, অনেকের সেই খরচ করার মতো ক্ষমতা নেই। তাই ভাবলাম, পুজোর আগে যদি ওদের মন ভালো করে দিতে পারি, তবে ক্ষতি কোথায়? এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই।’
গ্যারগেন্ডা চা বাগানের অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক বিনয় কেরকেট্টা বলেন, ‘আগে বাগানে নাপিতরা আসতেন। এখন আর আসে না। ১৮ কিলোমিটার দূরে মাদারিহাট বাজারে গিয়ে চুল-দাড়ি কাটার জন্য পয়সাও থাকে না সব সময়। ওঁরা যে আমাদের কথা ভেবেছে, এটাই তো পুজোর অনেক বড় উপহার।’